মিজোরামে ভেঙে পড়া রেলসেতু। —পিটিআই।
মিজোরামের রাজধানী আইজল থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে নির্মীয়মাণ রেলসেতু ভেঙে বুধবার শ্রমিকদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। বৃহস্পতিবার আইজলের জেলাশাসক নাজ়ুক কুমার আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন, এখনও পর্যন্ত যাঁদের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে, তাঁদের সবাই পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বাসিন্দা। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ নাজ়ুক বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত ১৮ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে মালদহের বাসিন্দা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মৃতদেহগুলি রেলের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। জখম তিন জনের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালে। তাঁরাও মালদহের বাসিন্দা।’’
বুধবার মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া জানিয়েছিলেন, তাঁরা ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার আইজলের জেলাশাসক দাবি করেন, এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১৮। ফলে সঠিক তথ্য নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
মৃতের সংখ্যা কি আরও বাড়তে পারে? সেই আশঙ্কার কথা উড়িয়ে দেননি মিজোরামের রাজধানীর জেলাশাসক। নাজ়ুক বলেন, ‘‘যে ব্রিজটি তৈরি হচ্ছিল, সেটা দুর্গম জায়গায়। খাদ রয়েছে, ঝোপ রয়েছে। সেখানে আরও দেহ আটকে রয়েছে কি না, তা তল্লাশি চালিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ মিজো পুলিশ, আইজল জেলা প্রশাসনের পাশাপাশি উদ্ধারকাজে নেমেছে বিএসএফ, এনডিআরএফের দলও।
মালদহের মৃত শ্রমিকদের দেহ রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে মিজোরাম সরকার এবং উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলওয়ের সঙ্গে সমন্বয় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার মিলনমেলার অনুষ্ঠান থেকে রেলের কাছেও ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন মমতা। মালদহের জেলাশাসককে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে।
নির্মীয়মাণ ওই সেতুর ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলার শ্রমিকদের যারা টাকার লোভ দেখিয়ে কাজ করাতে নিয়ে গিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’