গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
বামেদের সঙ্গে জোট চূড়ান্তই। এ বার আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গেও জোটের ভাবনায় এআইসিসি। তবে সে ক্ষেত্রে একটু সাবধানী পদক্ষেপ করতে চায় তাঁরা। সে কারণেই পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসকে এ ক্ষেত্রে একটু ধৈর্য ধরতে বলেছেন এআইসিসির ম্যানেজাররা। আগামী ২১ জানুয়ারি নতুন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ১০ দলের ফ্রন্ট ঘোষণা করবেন আব্বাস। তার আগে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানকে পাঠিয়ে তাঁর সঙ্গে একদফা কথা সেরে রেখেছে কংগ্রেস।
গত শুক্রবার ৮ জানুয়ারি ফুরফুরা শরিফে যান মান্নান। সেখানেই আব্বাসের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে এআইসিসি নেতৃত্ব ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে একটি রিপোর্ট দেন মান্নান। সূত্রের খবর, সেই রিপোর্ট পাওয়ার পর এআইসিসি থেকেই রাজ্য নেতৃত্বকে বলা হয়েছে, আব্বাস ইস্যুতে ‘ধীরে চলো’ নীতি নিতে। কারণ, আব্বাসের পরিচয় একজন মুসলিম ধর্মগুরু হিসেবে। তাই আব্বাস যদি নিজের রাজনৈতিক দল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকারের জন্য করেন, তা হলে কংগ্রেসের পক্ষে তাঁর সঙ্গে জোট করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
কারণ, কংগ্রেস ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেই রাজনীতি করে এসেছে এ দেশে। তাই এখনই কোনও সিদ্ধান্ত ঘোষণা না করে পরিস্থিতির উপর নজর রাখাকেই শ্রেয় বলে মনে করেছে এআইসিসি। গত মঙ্গলবার কংগ্রেস হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে দিল্লিতে তলব করা হয় মান্নান-সহ প্রবীণ রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে। সূত্রের খবর, ওই দিন রাজ্য কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতার সঙ্গে কথা বলেন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল। মনে করা হচ্ছে, ওই বার্তালাপেই দলীয় অবস্থান মান্নান-প্রদীপদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এআইসিসির সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে মান্নান কিছু না বলতে চাইলেও তিনি বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস সব সময় ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতি করে এসেছে। মানুষের অধিকারের কথা বলে এসেছে। তাই কোনও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের হয়ে কথা বলা কোনও দলের সঙ্গে আমাদের জোট করা সম্ভব নয়। কিন্তু আব্বাস যদি ধর্মনিরপেক্ষতাকে সঙ্গী করে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায়, তাহলে দল অবশ্যই জোটের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে তৈরি রয়েছে। আগে আব্বাস নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক করুন।’’
আরও পড়ুন: চূড়ান্ত ভোটার তালিকা আগামিকাল, বয়স্কদের জন্য বাড়িতে পোস্টাল ব্যালটের ভাবনা
আরও পড়ুন: শোভন-বৈশাখীর প্রচারসূচিতে নেই বেহালা, আপাতত ব্রাত্যই নিজ-কানন