দেহ সৎকারের ব্যবস্থা এবং হাসপাতালের দায়িত্ব নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য কমিশন। —ফাইল চিত্র।
দেহ যোগ্য সম্মানে সৎকার করা হচ্ছে কি না তা নিয়ে চিন্তিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ বিষয়ে বেশ কিছু দিন আগেই কমিশন চিঠি পাঠায় এ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে। সেই চিঠির প্রেক্ষিতেই বুধবার একাধিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে স্বাস্থ্য কমিশন।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সূত্রে খবর, করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বা কোভিডে মৃতদের দেহ সৎকার ঠিক ভাবে হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে চায় তারা। রাজ্যে একের পর ‘অমানবিক’ দৃশ্য দেখে স্বাস্থ্য দফতরের সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলে মানবাধিকার কমিশন। দেহ সৎকারের ব্যবস্থা এবং হাসপাতালের দায়িত্ব নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য কমিশন। আলোচনায় প্রথমেই উঠে আসে, রাজ্যের অনেক হাসপাতালের এখনও মর্গের ব্যবস্থা নেই। বিশেষত ছোট নার্সিংহোমে এই সমস্যা বেশি। বড় হাসপাতালগুলিতে ছ’টি পর্যন্ত মর্গ আছে কিন্তু মহামারির সময়ে তা যথেষ্ট কি না তা নিয়েও আলোচনা হয়। অন্য দিকে, মর্গের যা খরচ তা ছোট হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলির পক্ষে বহন করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও দাবি।
স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বড় হাসপাতালগুলির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন মানবিকতার কথা মাথায় রেখে তাঁরা ছোট হাসপাতালগুলিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন।” তবে, মানবাধিকার কমিশন জানিয়েছে, তারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ছোট ও বড় হাসপাতালের মধ্যে সমন্বয় রেখে ‘নো প্রফিট নো লস’ নীতিতে দেহ রাখার খরচ নির্ধারণ করবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, মৃতের পরিবার যদি দেহ সৎকারের খরচ বহন করতে না পারে তা হলে যেখানে রোগী ভর্তি ছিলেন, সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই খরচ বহনের দায়িত্ব নেবেন। এ ছাড়া কোনও ভাবেই টাকার জন্য কোনও দেহে আটকে রাখা যাবে না বলেও জানিয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান। পাশাপাশি, ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার সময়েই দেহ ছাড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। বৈঠকে আরও বলা হয়, ডেথ সার্টিফিকেট সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও অসুবিধায় পড়লে মৃতের পরিবার যেন তৎক্ষণাৎ কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে।