উত্তমকুমার স্মরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার ধনধান্য প্রেক্ষাগৃহে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
মহানায়ক সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে উত্তমকুমারকে তাঁর মৃত্যুর পরে যথোচিত সম্মান দেওয়া হয়নি বলে আক্ষেপ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পুরস্কার দেওয়ার পরে তিনি বলেন, ‘‘রবীন্দ্রসদনে উত্তমকুমারের দেহটিও রাখার সুযোগ দেয়নি তখনকার সরকার। আমরা সরকারে আসার পরে ওঁকে সম্মান দিয়েছি।’’
বাম সূত্রের বক্তব্য, সে সময়ে তরুণ কুমার-সহ পরিবারের লোকজন চাননি বলেই উত্তমকুমারের মরদেহ রবীন্দ্র সদনে রাখা হয়নি। রবীন্দ্রনাথের শেষযাত্রায় এই শহরে যা ঘটেছিল, সেই স্মৃতি তখন ছায়া ফেলেছিল ভাবনায়। সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে কোনও বিষয়ে বারবার অসত্য বলেন! উত্তমকুমারের সঙ্গে বাম সরকারের কোনও বিরোধ ছিল না, অসম্মান করারও কোনও প্রশ্ন ওঠে না। বরং, বন্যার সময়ে ত্রাণ সংগ্রহে নেমে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর হাতে সহায়তা তুলে দিতে এসেছিলেন উত্তমকুমার।’’
তাঁর আরও দাবি, ‘‘বাম সরকার শিল্পী, সাহিত্য, সংস্কৃতি জগতের ব্যক্তিত্বদের সম্মান দিতে জানত। জেলায় জেলায় রবীন্দ্র ভবন বা কলকাতায় নন্দন সেই সময়েই তৈরি। মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়িয়ে, নন্দনের উদ্বোধন করছেন সত্যজিৎ রায়— এই ছবি এখনও আছে।’’
এ দিনের অনুষ্ঠানে অবশ্য তৃণমূলের আমলে রাজ্যে বিশিষ্টজন থেকে ছোটদের স্বীকৃতি দেওয়ার কথাই মনে করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘বঙ্গভূষণের এই গর্ব আমরা ছোটবেলায় দেখিনি। আজকের লোকেরা যাতে পায় সেটা আমরা দেখেছি। ছোটদের সবাই খালি বকাকবি করে, ভালবাসে না। আজকাল আমরা স্কলারশিপ, স্কুলড্রেস, সাইকেল— সবটা দিই যাতে নতুন প্রজন্ম এগোতে পারে।’’