ইডির পর জ্ঞানানন্দকে ডাকল সিবিআই। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে এ বার সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র ঘনিষ্ঠ জ্ঞানানন্দ সামন্তকে তলব করল সিবিআই। এই মামলায় তাঁকে আগেই ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। এ বার আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইও জ্ঞানানন্দ ওরফে ‘গন্যা’কে ডেকে পাঠাল। আজ বৃহস্পতিবারই তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেলা সাড়ে ১২ টা নাগাদ জ্ঞানানন্দ নিজাম প্যালেসে পৌঁছে গিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, জ্ঞানানন্দ দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য। সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি রাজনৈতিক সম্পর্ক বলে জানা গিয়েছে। গত বছরের মে মাসে প্রাথমিকের নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে যখন ‘কালীঘাটের কাকু’র বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি, সেই সময় জ্ঞানানন্দের বাড়িতেও তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তাঁকে ডেকে বিবৃতিও নিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছিল।
এমনকি সুজয়কৃষ্ণের মোবাইলে আড়ি পেতে রাহুল বেরার নম্বরে যে কথোপকথন পাওয়া গিয়েছিল, তাতে ‘কাকু’ ছাড়া অন্য যে কণ্ঠস্বর ছিল, তা জ্ঞানানন্দের হতে পারে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। প্রাথমিক ভাবে সন্দেহ করা হয়েছিল, ওই কণ্ঠস্বর রাহুল বেরারই। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরায় রাহুল সে কথা অস্বীকার করেন। তিনি সাফ জানিয়েছিলেন, তাঁর সঙ্গে সুজয়কৃষ্ণের কোনও অ্যাডমিট কার্ড কিংবা অন্য তথ্য মুছে দেওয়া সংক্রান্ত কথা হয়নি। তার পর থেকেই প্রশ্ন উঠছে, ওই কণ্ঠস্বর সুজয়কৃষ্ণের আর এক ঘনিষ্ঠ জ্ঞানানন্দেরই কি না।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত এবং আর এক কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর তাঁদের নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই। বিধাননগর পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর তথা গায়িকা-বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী দেবরাজ চক্রবর্তীর পাশাপাশি গত জানুয়ারি মাসেই সিবিআই-এর সদর দফতরে হাজিরা দিয়েছিলেন কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তও। এ বার ‘গন্যা’কেও তলব করল সিবিআই।