—প্রতীকী চিত্র।
পরিচয় ভাঁড়িয়ে সরকারি অফিসে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন। তা-ও যে সে অফিস নয়, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসে! নিজেকে সরকারি আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে সেখানে ঢোকার চেষ্টা করলেও সেই ইচ্ছা অবশ্য পূরণ হয়নি। শুধু তা-ই নয়, ‘অবৈধ ভাবে’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসে প্রবেশ করতে গিয়ে হাতেও হাতকড়া পড়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বয়স ২১ বছর। তাঁর বাড়ি উত্তরপ্রদেশে। ওই তরুণের কাছে দিল্লির কর্তব্য পথের উত্তর ব্লকে অবস্থিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসে ঢোকার জন্য একটি এন্ট্রি পাস ছিল বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু এই পাস শুধুমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকদের কাছেই থাকার কথা। কী ভাবে ওই তরুণ সেই পাস জোগাড় করলেন, সেটাই ভাবাচ্ছে পুলিশ এবং নিরাপত্তাকর্মীদের। ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন নিরাপত্তা সংস্থা, দিল্লি পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট এবং বিশেষ সেলের আধিকারিকরা।
কেনই বা তিনি ভুয়ো পরিচয় দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্তের কোনও নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ঠিক একই ভাবে এন্ট্রি পাস জোগাড় করে দিল্লির নতুন সংসদ ভবনে ঢুকে পড়েছিলেন দুই যুবক। লোকসভার অধিবেশন চলাকালীন স্লোগান দিতে দিতে দর্শকদের বসার আসন থেকে নীচে ঝাঁপ দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে জুতোর ভিতরে লুকোনো ক্যানিস্টার থেকে স্প্রে করতে থাকেন হলুদ রঙের গ্যাস। সেই ঘটনায় মোট ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে জানা গিয়েছিল, মহীশূরের বিজেপি নেতা প্রতাপ সিমহার থেকেই সংসদ ভবনে ঢোকার পাস পেয়েছিলেন তাঁরা। সে দিন তাঁরা কোনও নাশকতামূলক ঘটনা না ঘটালেও সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অফিসে ওই তরুণের পরিচয় ভাঁড়িয়ে ঢোকার চেষ্টা সংসদ ভবনে ঘটা সে দিনের ঘটনার কথাই মনে করিয়ে দিচ্ছে।