ফাইল চিত্র।
ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচি (ইভিপি) সাঙ্গ হতেই শুরু হবে নতুন ভোটার তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া। তেমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৫ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এই প্রক্রিয়া।
১.১.২০১৯ পর্যন্ত যাঁদের বয়স ১৮ বছর হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত তাঁদের নামই ভোটারতালিকায় উঠেছে। তারপর থেকে নতুন আবেদনের সুযোগ না মেলায় পরবর্তীতে ১৮ বছর বয়স হলেও ভোটার তালিকার নাম তোলার সুযোগ মেলেনি কারও। এ বার যাঁদের বয়স আগামী ১.১.২০২০ সালের মধ্যে ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তাঁরা এই ২৫ নভেম্বর থেকে ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। একইসঙ্গে ওই প্রক্রিয়ার মধ্যে সংশোধন, বিয়োজনের কাজও চলবে। আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ইভিপি-র কারণে এই নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া কয়েক মাস দেরিতে শুরু হল বলে কমিশন সূত্রের একাংশের দাবি। ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য নির্ধারিত করেছিল কমিশন। কার্যত কমিশনও মেনে নিয়েছে যে যথেষ্ট ‘ধীরগতি’তে এগোচ্ছে ইভিপি। এখনও বড় অংশের ভোটার এই কর্মসূচির বাইরে রয়েছে। সূত্রের খবর, বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারদের (সিইও) পাঠানো নির্দেশিকায় ইভিপির সময়সীমা বাড়ানোর জন্য এই ব্যাখ্যাই দিয়েছে কমিশন। তাই তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া ১৫ অক্টোবরের পরিবর্তে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত করেছে কমিশন।
কমিশনের সেই নির্দেশিকা।
তবে বিধানসভা নির্বাচনের কারণে হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্রের সিইওদের এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়নি। বাদ রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। দিল্লিতে আগামী বছর বিধানসভা ভোট হওয়ার কথা। তাই সেখানে ইভিপি প্রক্রিয়া সাঙ্গ করার জন্য নির্ধারিত করা হয়েছে ৩১ অক্টোবর।
প্রায় দেড় মাস ভোটার তথ্য যাচাই কর্মসূচি চললেও তা নিয়ে বিভ্রান্তি সম্পূর্ণ কাটেনি। কারণ, আধার কার্ডের সঙ্গে ভোটার পরিচয়পত্রের(এপিক) সংযুক্তিকরণের বিষয়টি বিভিন্ন জায়গার আলোচনায় উঠে আসছে। কিন্তু কমিশন জানাচ্ছে, অনলাইনে ভোটার তথ্য যাচাইয়ের সময়ে সংশ্লিষ্ট ভোটারের পরিচয় সম্পর্কিত একটি নথি সেখানে আপলোড করলেই চলবে। কমিশনের এক কর্তার কথায়, ‘‘অনলাইনে যেহেতু ব্যক্তির পরিচয় সম্পর্কে সরাসরি নিশ্চিত হওয়া যায় না। সে কারণে কমিশন একটি নথি আপলোড করতে নির্দেশ দিয়েছে। সংযুক্তিকরণের কোনও প্রশ্নই নেই।’’
ইভিপি বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও) অ্যাপের মাধ্যমে। শনিবার বিভিন্ন রাজ্যের সিইওদের পাঠানো নির্দেশে সে কথা ফের মনে করিয়েছে কমিশন। তবে যাঁরা অনলাইনে তথ্য যাচাই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না, তাঁদের ক্ষেত্রে বিএলও বাড়িতে পৌঁছে এই কাজ করবে। সে ক্ষেত্রে নিয়ম কিছুটা শিথিল করেছে কমিশন। তারা জানিয়েছে, অনলাইনে যেসব জমা দিয়েছেন ভোটদাতা, সেখানে ভোটাদাতার সংশ্লিষ্ট পরিবারের প্রধানের নথিই বিএলওকে দেখালেই হবে। এমনকি, কোনও ভোটদাতা নথি না দেখালে, তিনি উপস্থিত থাকলেই ইভিপি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে।