জ্যোতিপ্রিয় জানান, অটো, নৌকা ইত্যাদি করে মানুষকে এনে শীতবস্ত্র হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
বনবিবি পুজো উপলক্ষে স্থানীয়দের জন্য শীতবস্ত্র পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু নিজের হাতে সেই পোশাক বিতরণ করতে গিয়েই ‘বাধা’। মঙ্গলবার হাতের কাছে ১৫ হাজার শীতবস্ত্র না পেয়ে হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি আধিকারিকদের তীব্র ভর্ৎসনা করেছিলেন মমতা। এর পরই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন। বুধবার হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি-সহ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শিবির করে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু হল। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানান, তাঁরা অটো, নৌকা করে মানুষকে শিবিরে নিয়ে এসে তাঁদের শীতবস্ত্র প্রদান করছেন।
মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জে সরকারি পরিষেবা প্রদানের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সভা শুরুর কিছু ক্ষণ পরই ‘ছন্দপতন’। তাঁর পাঠানো ১৫ হাজার শীতবস্ত্র বিডিও অফিসে পড়ে আছে শুনে রেগে যান তিনি। সভায় উপস্থিত জনতাকে বলেন, ‘‘আপনারা বসুন, আমিও বসলাম।’’ ওই ভাবে ১০ মিনিটের বেশি সময় বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশ্ন তুলেছিলেন সরকারি আধিকারিকদের দায়িত্ববোধ নিয়ে। পরে অবশ্য কিছু শীতবস্ত্র জোগাড় হয়। নিজে সেগুলো কয়েক জনের হাতে তুলে দিয়ে মমতা জানান, বুধবারই ওই সমস্ত পোশাক সবার কাছে পৌঁছে যাবে। এখনও জেলা সফরেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যেই শীতবস্ত্র বিতরণের কাজ শুরু করল প্রশাসন।
জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘‘বিডিওর কাছে না গিয়ে মঙ্গলবারই পোশাক বিতরণ করতে পারলে ভাল হত। যাই হোক, আমরা ওই সমস্যা সমাধান করে ফেলেছি। আমরা ক্যাম্প করে হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি ইত্যাদি এলাকা থেকে অটো, নৌকাপথে মানুষকে শিবিরে নিয়ে এসে তাঁদের হাতে চাদর, কম্বল ইত্যাদি তুলে দিচ্ছি।’’ তাঁর সংযোজন, “মানুষের অন্তরে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জন্য এত ভাবেন বলেই তাঁদের জন্য পোশাক এনেছেন।’’