তখনও পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত দু’টি ট্রেন। লাইনে নেমে পড়েছেন যাত্রীরা। হাজির তদন্তকারীরাও। নিজস্ব চিত্র।
শিয়ালদহ রেলস্টেশনের কাছেই পাশাপাশি ধাক্কা লাগল দু’টি ট্রেনের। বুধবার সকালে শিয়ালদহ কারশেডের কাছেই ঘটে এই দুর্ঘটনা। দু’টি ট্রেনের একটি ফাঁকা থাকলেও অন্যটি ঘটনার সময় যাত্রীবোঝাই ছিল। আশঙ্কা, ধাক্কার তীব্রতা বেশি হলে তা থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেও পারত।
বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ ঘটে এই দুর্ঘটনা। রেল সূত্রে পাওয়া খবর, শিয়ালদহের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে তখন একটি খালি রেক কারশেডের দিকে যাচ্ছিল। ওই একই সময় আপ রানাঘাট লোকালও বেরোচ্ছিল ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শিয়ালদহ ডিআরএম অফিস পেরিয়ে কিছুটা এগোতেই খালি রেকটি হঠাৎই রানাঘাট লোকালকে পাশ থেকে ধাক্কা দেয়। তবে সেই ধাক্কা বিশেষ জোরালো ছিল না বলেই দাবি করেছে রেল। তারা জানিয়েছে, বিশেষ কেউ আহত হননি। ট্রেনের তেমন ক্ষতিও হয়নি। কোনও যাত্রী পড়েও যাননি। তবে ঘটনাস্থল থেকে আসা ছবিতে দেখা গিয়েছে, কারশেডগামী ট্রেনটির চাকা খুলে গিয়েছে। রানাঘাটগামী ট্রেনটির কেবিনের দরজাটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে রেললাইনেরও।
চাকা খুলে গিয়েছে ফাঁকা ট্রেনটির। নিজস্ব চিত্র।
এই ঘটনায় রেলের তরফে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেল সূত্রে খবর, যদি কোনও ‘হিউম্যান এরর’ হয়ে থাকে তা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা খুঁজে বের করে শাস্তির নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে রেলের ধারণা, সিগন্যালের গোলমাল থেকেই দুর্ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে। অনুমান, হয়তো দু’টো ট্রেনের কোনও এক জন চালক সিগন্যাল দেখতে ভুলও করে থাকতে পারেন। বস্তুত এই ‘হিউম্যান এরর’-এর সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না রেল। তবে তদন্ত শেষেই সবটা জানা যাবে বলে মনে করছে তারা। বুধবার বেলা ১২টা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জন সংযোগ আধিকারিক একলব্য চক্রবর্তী বলেন, “এই ঘটনায় বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কেউ আহত হননি। রেকেরও কোনও ক্ষতি হয়নি। কী কারণে এমনটা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে তার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”