১৬ দিনের পুজোর ছুটি কাটিয়ে সোমবার থেকে কাজে যোগ দেবেন সরকারি কর্মচারীরা। ফাইল ছবি।
১৬ দিনের পুজোর ছুটি শেষ। সোমবার থেকে আবারও খুলে যাচ্ছে সরকারি সব অফিস। ৫ অক্টোবর পুজোর আগে শেষ শুক্রবার অফিস করেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। ওই থেকেই পুজো ছুটি পড়ে গিয়েছিল সরকারি অফিস ও স্কুলগুলিতে। আর পক্ষকালের মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। তাই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কাজে যোগদান করবেন ডিএ বঞ্চনার ক্ষোভ নিয়েই, এমনটাই মনে করছে প্রশাসনিক মহলের একাংশ।
৫-২১ অক্টোবর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের পুজোর ছুটির মধ্যেই ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিন ডিএ বৃদ্ধির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৫৩ শতাংশ হারে ডিএ পাবেন। এতদিন তাঁরা ৫০ শতাংশ হারে ডিএ পেতেন। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধির ফলে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে ডিএ-র পার্থক্য বাড়ল অনেকটাই। এত দিন যে ব্যবধান ৩৬ শতাংশ ছিল, তা এখন বেড়ে ৩৯ শতাংশ হয়েছে। ছুটির আবহেই এই খবর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কানেও পৌঁছে গিয়েছিল। তাই সোমবার অফিস খুললে ডিএ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হতে পারে সরকারি কর্মচারীমহলে। ইতিমধ্যে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ এবং কো-অর্ডিনেশন কমিটি ডিএ নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাই আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ডিএ নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভ দেখা দিতে পারে সরকারি দফতরগুলিতে।
তবে পুজোর ছুটি শেষ হলেও, কালীপুজো এবং ভ্রাতৃদ্বিতীয়া উপলক্ষে আবারও ছুটি দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩১ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটি সরকারি কর্মচারীদের। যদিও, এ ক্ষেত্রে ২-৩ নভেম্বর শনি-রবিবার হওয়া এমনতিই ছুটি সরকারি অফিসগুলিতে। তবে ওই সপ্তাহের ৭-৮ নভেম্বর আবার ছট্পুজোর কারণে দু’দিন ছুটি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিএ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কো-অর্ডিনেশন কমিটির নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ চৌধুরী বলছেন, ‘‘ডিএ নিয়ে তো সরকারে ওপরে সরকারি কর্মচারীদের ক্ষোভ তো আছেই। আগামী ২২-২৩ অক্টোবর রাজ্যের সর্বত্র টিফিনের সময় বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন। ছুটি দিলে তো আর ন্যায্য পাওনা আদায়ের বিষয়টি তুলে দেওয়া যায় না।’’ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ভাস্কর ঘোষ বলেন, ‘‘সরকারি কর্মচারীদের পাওনা দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। পুজোর ছুটি বাড়িয়ে দিয়ে সেই ক্ষোভ কমানো যাবে না। কেন্দ্র সরকার যে ভাবে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি করেছে, রাজ্য সরকারকেও সে ভাবেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ দিতে হবে। তাই আগামী ২৯ অক্টোবর রাজ্যজুড়ে সরকারি কর্মচারীরা দু’ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করবেন।’’