এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। -প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল হুগলিতে। তাতে বাধা পেয়ে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা। ৩ বছর পরে অপরাধী পার্থ চৌধুরীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শোনাল চন্দননগর আদালত।
বাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন পার্থ। বাধা পেয়ে কিশোরীকে শ্বাসরোধ করে খুনের চেষ্টা করেছিলেন ওই ব্যক্তি। তবে নির্যাতিতার দেহে প্রাণ আছে বলে বুঝতে পারেনি অপরাধী। মৃত ভেবে হাই ড্রেনে ফেলে চম্পট দেয় সে। দু’দিন পর স্থানীয়দের সাহায্যে উদ্ধার হয় নাবালিকা। ২০২১ সালের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিকে শুক্রবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঘোষণা করল চন্দননগর আদালত।
সরকার পক্ষের আইনজীবী অন্নপূর্ণা চক্রবর্তী জানান, পার্থ নামে এক বিবাহিত ব্যক্তি নাবালিকাকে উত্যক্ত করতেন। তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কুপ্রস্তাব দিত। তবে নাবালিকা তাতে রাজি ছিল না। ২০২১ সালের ১৫ জুন মোবাইল রিচার্জ করতে বেরিয়েছিল বছর পনেরোর নাবালিকা। ওই সময় পার্থ তাকে জোর করে বাইকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। চন্দননগরের বিলকুলি এলাকার এক নির্জন জায়গায় তাকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল। তাতে বাধা দিলে কিশোরীর গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে মারার চেষ্টা করেছিলেন পার্থ। নাবালিকা অচৈতন্য হয়ে পড়লে পার্থ মনে করেছিলেন সে মারা গিয়েছে। এর পর তাকে একটি নর্দমায় ফেলে রেখে পালিয়ে গিয়েছিল অপরাধী। ৪৮ ঘণ্টা পরে স্থানীয়রা নির্যাতিতাকে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। এর পর নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে ভদ্রেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পার্থকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা, খুনের চেষ্টা ও অপহরণের মামলা রুজু করা হয়েছিল। এই মামলায় চন্দননগর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক মানবেন্দ্র সরকার দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন পার্থকে। শুক্রবার অপরাধীর সাজা ঘোষণা হয়। যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।