নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দলে হিসাবে উঠে এসেছে বিজেপি। অন্য দিকে এ বার রাজ্যে একজন বিধায়কও নেই কংগ্রেসের। বিধায়ক হিসাবে শপথ নিলেও বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে এই সিদ্ধান্ত। বিজেপি-র এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। বললেন, বিধানসভা যদি বয়কট করবে, তা হলে বিজেপি নির্বাচনে অংশ নিল কেন?
শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপি-র এই সিদ্ধান্ত অত্যন্ত সংকীর্ণ। বিধানসভা বয়কট করতে হলে নির্বাচনে অংশ নেওয়া কেন? শুধুমাত্র সরকার গড়তেই কি নির্বাচনে অংশ নেওয়া? গণতন্ত্রে সরকার পক্ষ ও বিরোধী পক্ষ উভয়কেই থাকতে হবে। কারণ, বিরোধী দলকে বাদ দিয়ে কোনও গণতন্ত্র শক্তিশালী হয় না।’’
অধীর আরও বলেন, ‘‘বিজেপি-র বিধানসভা বয়কটের সিদ্ধান্তে যাঁরা বিজেপি প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন তাঁদের অসম্মান জানানো হচ্ছে। বিধানসভায় যদি তাঁরা হাজিরই না থাকেন তা হলে মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা বলবেন কী ভাবে? মানুষের কথা বলার জায়গা বিধানসভা ও লোকসভা। বিধানসভার মধ্যে উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ করা কিংবা প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাওয়া যায়, কিন্তু সম্পূর্ণ বিধানসভাকেই বয়কট করায় মানুষের রায়কে অমর্যাদা দেওয়া হচ্ছে।’’
বিজেপি-র এই সিদ্ধান্ত ও ব্যবহারের পিছনে পরাজয় মানতে না পারার মানসিকতা লুকিয়ে আছে বলেই মনে করছেন অধীর।