গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতিতে টিকা ও অক্সিজেন দিয়ে সাহায্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ইতিমধ্যেই দু’বার চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার একই দাবিতে মোদীকে চিঠি দিলেন কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রাজ্যকে সব রকমের সাহায্য করার জন্য কেন্দ্রের কাছে আবেদন করেছেন তিনি।
শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে ওই চিঠির কথা জানান অধীর। চিঠিতে মোদীকে দু’টি প্রশ্ন করেছেন তিনি। এক, টিকার জন্য বরাদ্দ ৩৫ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেল? দুই, এখন কোভিড মহামারির সময় বিলাসবহুল সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে ২০ হাজার কোটি টাকা খরচের কি খুব প্রয়োজন আছে? অধীরের কথায়, ‘‘এই মহামারিতে পশ্চিমবঙ্গকে পর্যাপ্ত টিকা যাতে দেওয়া হয়, তার জন্য কেন্দ্রের কাছে জোরালো দাবি জানাচ্ছে কংগ্রেস। রাজ্য সরকারকে যাতে উদার হাতে সহযোগিতা করা হয় সেই দাবিতে এক জন জনপ্রতিনিধি হিসাবে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি।’’
রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই চার সদস্যের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। তা নিয়েও কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা সম্প্রীতির রাজনীতি চান। সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি চান না। খেলা হয়েছে এবং সেই খেলায় দিদি জিতেছেন, মোদী হেরেছেন। এই সময় রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, দিল্লি থেকে কোভিড বাহিনী পাঠানো উচিত। রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতিতে প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি-র উচিত রাজ্য সরকারকে সাহায্য করা।’’
মোদীকেও কটাক্ষ করেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে এতই উদ্বিগ্ন হন, তা হলে তিনি নিজে কেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলছেন না? তিনি রাজ্যপালের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় পান। কিন্তু এক জন নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কেন কথা বলছেন না?’’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, এ বার মুর্শিদাবাদে একটিও আসন পায়নি কংগ্রেস। অধীর গড় বহরমপুরও হাতছাড়া হয়েছে। এই ঘটনায় দলের অন্দরে সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু তার পরেও রাজ্যের করোনা পরিস্থিতিতে সাহায্যের জন্য মমতার মতো তিনিও কেন্দ্রকে চিঠি লিখলেন। কংগ্রেসের এক কর্মীর কথায়, ‘‘এটা রাজনীতি করার সময় নয়। সভাপতি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’