লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী।—ফাইল চিত্র।
নতুন উদ্যমে বাম ও কংগ্রেস যৌথ কর্মসূচি নিয়ে পথে নামার পরে সেই রাস্তায় হাঁটেনি মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়া জেলার কংগ্রেস। জোট নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে ভিন্ন সুরের জল্পনাও মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছিল সেই ঘটনা ঘিরে। কলকাতায় এসে সে জল্পনা খারিজ করে কংগ্রেসের জোট-লাইনের সঙ্গেই থাকার কথা স্পষ্ট করে দিলেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে গত বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের হাত ধরতে তৎপর হয়েছিলেন অধীরবাবুই। যদিও তাঁর নিজের জেলা মুর্শিদাবাদ-সহ কিছু জেলায় দু’পক্ষের সমঝোতা মসৃণ হয়নি। আবার গত বছর লোকসভা নির্বাচনে দু’পক্ষের সমঝোতা ভেস্তে গেলেও অধীরবাবুর জন্য বহরমপুর লোকসভা আসনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। বামফ্রন্টের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে আরএসপি ওই আসনে প্রার্থী দিয়ে দিলেও সিপিএম কর্মীরা ভোটের কাজে নেমেছিলেন অধীরবাবুর পক্ষে। এর পরেও সম্প্রতি মুর্শিদাবাদে যৌথ কর্মসূচি ঘিরে জটিলতা উদ্বেগের সঞ্চার করেছে জোট শিবিরে। সেই সংশয়েরই শুক্রবার অবসান ঘটাতে চেয়েছেন অধীরবাবু।
ব্যক্তিগত কাজে কলকাতায় এসে এ দিন কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা বিধানসভায় গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের সঙ্গে দেখা করতে। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘জটিলতা কিছু নেই। এআইসিসি এবং এখানে প্রদেশ কংগ্রেস, মান্নানদা’রা যা ঠিক করবেন, সেই ভাবেই আমরা চলব।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গেও এ দিন অধীরবাবুর কথা হয়েছে। পরে আরও বিশদে কথা বলবেন বলেও সুজনবাবু তাঁকে জানিয়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের সঙ্গেও ইতিমধ্যে অধীরবাবুর কথা হয়েছে।
সমঝোতার প্রাথমিক সূত্র হিসেবে গত বার যে দল যে আসনে জয়ী হয়েছিল, সেই আসনে তারাই এ বার প্রার্থী দেবে। সেই নিরিখে মুর্শিদাবাদে অধীরবাবুরাই অনেক এগিয়ে আছেন। সূত্রের খবর, জোটের পরিবেশ ঠিক রাখার লক্ষ্যে এলাকা ভিত্তিতে যাতে বামেদের জন্য আসন ছাড়া হয়, তার জন্য অধীরবাবুদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন বাম নেতৃত্ব।