প্রচার পরিকল্পনার প্রধান দায়িত্বে রুদ্রনীল ঘোষ। ফাইল চিত্র
যবে থেকে ভবানীপুরে উপনির্বাচনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে তবে থেকেই দল চাইলে তিনি প্রার্থী হতে রাজি বলে জানিয়েছিলেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। গত বিধানসভা নির্বাচনে এই আসনেই প্রার্থী হন তিনি। তবে তৃণমূলের শোভনদেবের কাছে প্রায় ২৯ হাজার ভোটে হেরে যান তিনি। উপনির্বাচনের দিন ঘোষণার পরেও রুদ্রনীল জানিয়েছিলেন, তাঁকে প্রার্থী করা হলে লড়াই দিতে তৈরি। মমতা বন্দ্যাপাধ্যায় নয়, তাঁর লড়াই হবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রার্থী করেনি বিজেপি। শুক্রবারই বিজেপি ঘোষণা করেছে ওই আসনে দলের প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। আর রুদ্রনীল হচ্ছেন ওই আসনে প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান।
এই দায়িত্ব পেয়ে তিনি খুশি বলেই দাবি করেছেন রুদ্রনীল। তিনি বলেন, ‘‘আমি দলের অনুগত সৈনিক। যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা পালন করব।’’ কোন পথে প্রচার হবে বলে ঠিক করেছেন? জবাবে রুদ্রনীল বলেন, ‘‘এটা দল ঠিক করবে। তবে আমি যদি স্বাধীনতা পাই তবে নিজের মতো করে ভাবব।’’ এই দায়িত্ব কি আগের বার প্রার্থী হওয়া রুদ্রনীলকে দলের পক্ষে স্বান্তনা পুরস্কার? সেটা মানতে নারাজ রুদ্রনীল বলেন, ‘‘এখন বাংলায় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে প্রিয়ঙ্কাই যোগ্য প্রার্থী। তিনিই দলের প্রতিবাদের মুখ। তাঁর উদ্যোগেই সুবিচারের আশা দেখছেন আক্রান্ত কর্মীরা।’’
এই আসনে বিজেপি-র পক্ষে পূর্ব সিদ্ধান্ত মতো পর্যবেক্ষক থাকবেন ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহ। সহকারী হিসেবে থাকবেন দলের আরও দুই সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো এবং সৌমিত্র খাঁ। মমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার পাশাপাশি নির্বাচন পরিচালনার মহিলা মুখ হিসেবে রাখা হয়েছে দলের বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।