Krishnanagar Case

‘আমি ছিলাম না’, দাবি কৃষ্ণনগরের ‘নির্যাতিতা’র প্রেমিকের, সাত দিনের পুলিশি হেফাজত দিল কোর্ট

ধৃত তরুণ বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বার বার দাবি করেছেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। অভিযুক্তের মা-ও দাবি করেছেন, তাঁর পুত্র নির্দোষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:৪৫
Share:

পুলিশের গাড়িতে আদালতের পথে ধৃত তরুণ। — নিজস্ব চিত্র।

তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। বৃহস্পতিবার আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে কৃষ্ণনগরকাণ্ডে অভিযুক্ত এই দাবিই করলেন। বুধবারই কৃষ্ণনগরে এক তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাঁকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় তরুণীর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করানো হয়েছে। আদালত তাঁকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।

Advertisement

তরুণীর পরিবারের দাবি, তাঁকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। আঙুল তরুণীর প্রেমিকের দিকে। এই দাবি মানতে চাননি ওই তরুণ। ধৃত তরুণ বৃহস্পতিবার আদালতে যাওয়ার পথে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বার বার দাবি করেছেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ছিলাম না।’’ অভিযোগ উঠেছে, কৃষ্ণনগরের কলেজ মাঠে তিনি ঘটনার রাতে গিয়েছিলেন। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে জবাবে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘‘কলেজ মাঠে দু’জন বন্ধু ছিলাম। আর কেউ ছিল না।’’ অভিযুক্তের মা-ও দাবি করেছেন, তাঁর পুত্র নির্দোষ। ঘটনার দিন, মঙ্গলবার রাতে তাঁর পুত্র কোথায় ছিলেন, তা-ও জানিয়েছেন তিনি। অভিযুক্ত যুবকের মায়ের দাবি, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ তাঁর ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসেন। মায়ের দাবি, ছেলে তাঁকে জানিয়েছিলেন, তিনি সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। এর পর সামান্য কিছু খেয়ে ছেলে ঘুমিয়ে পড়েন বলেই দাবি মায়ের। যদিও তরুণীর মা সেই দাবি মানেননি। যুবককে গ্রেফতারের পাশাপাশি তাঁর বাবা, মাকেও আটক করে জেরা করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে তাঁদের কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ঘটনার তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছে রাজ্য পুলিশ। সিআইডিরও সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার। তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে। বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেই ময়নাতদন্ত হচ্ছে। সুপ্রতিম জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পরেই তরুণীর মৃত্যুর কারণ নিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement