অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র
জনসংযোগ যাত্রায় নন্দীগ্রামের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরে ঢুকে ‘অধিকারী’দেরই নিশানা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সাংসদ শিশির অধিকারীর নাম করে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি তুললেন তিনি। আজ, বুধবার চণ্ডীপুরের কর্মসূচি সেরে বৃহস্পতিবার অধিকারী পরিবারেরই আর এক সদস্য তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর নির্বাচনী কেন্দ্রে নামছেন তিনি।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই কর্মসূচিতে ‘অধিকারী’দের শক্তঘাঁটিতে জন-সমর্থনের প্রমাণ দিতে হবে অভিষেককে। সেই লক্ষ্যেই চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার হেঁটে জনসংযোগের পরিকল্পনা করেছেন তিনি। কারচুপির অভিযোগ করলেও নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হারের ঘটনা তৃণমূলের কাছে খামতি হয়েই রয়েছে। এই পদযাত্রায় শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে সেই খামতি পূরণের চেষ্টা চালাবে তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি আন্দোলনের ‘শহিদ’ পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন অভিষেক। সম্প্রতি শুভেন্দুর কনভয় দুর্ঘটনায় মৃত যুবকের পরিবারের সদস্যরাও দেখা করবেন তাঁর সঙ্গে।
পটাশপুরে অভিষেক বলেন, ‘‘আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় শিশিরবাবু, সাংবাদিক বৈঠক করে পূর্ব মেদিনীপুরের মানুষকে বলুন, আপনি তৃণমূল আছেন, না বিজেপিতে আছেন। বাকিটা জনগণের কাছে ছেড়ে দিন।’’ তবে নাম না করলেও শুভেন্দুকে ফের ‘গদ্দার’ ও ‘মীরজাফর’ বলে আক্রমণ করেন তিনি। খাতায়কলমে শিশির এবং তাঁর আর এক ছেলে দিব্যেন্দু তৃণমূলের সাংসদ হলেও তাঁদের ‘বিজেপি ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে টানাপড়েন চলছেই। লোকসভার স্পিকারের কাছে তাঁদের সাংসদ পদ খারিজের আর্জিও জানিয়েছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, দু’দিন আগেই দিল্লিতে নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধনেও হাজির ছিলেন শিশির ও দিব্যেন্দু। যদিও ওই অনুষ্ঠান বয়কট করেছিল তৃণমূল। শিশির বা দিব্যেন্দু কেউই অভিষেকের বক্তব্য নিয়ে কিছু বলতে চাননি। এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে পৌঁছয় তৃণমূলের ‘নব জোয়ার’ যাত্রা। বাঙ্গুচক মোড়ে বক্তৃতায় শুভেন্দুর উদ্দেশে অভিষেক বলেন, ‘‘বাবা ও ভাইয়ের সদস্যপদ খারিজের জন্য রিট পিটিশনটা হাই কোর্টে হচ্ছে না কেন? উপ-নির্বাচন হচ্ছে না কেন?’’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জেলায় থাকব। পূর্ব মেদিনীপুর থেকে (বিজেপি) ঝেঁটিয়ে বিদায় করব।’’