সিঙ্গুরের হরিপালে ট্র্যাক্টরে সওয়ার হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের স্মৃতি ফেরাতে মঙ্গলবার সিঙ্গুরের জেলা হুগলির হরিপালে ট্র্যাক্টরে সওয়ার হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে সঙ্গে নিয়ে হামিরাগাজি থেকে বাসুদেবপুর পর্যন্ত এই মিছিলে শুরুতে তেমন ভিড় না থাকলেও পরে দলের কর্মী-সমর্থকেরা যোগ দেন। দলীয় সূত্রে খবর, ভিড়ে আটকে যাওয়ায় আরামবাগে দিনের শেষ কর্মসূচি দলীয় সভায় পৌঁছতে পারেননি অভিষেক।
এ দিকে, পঞ্চায়েত ভোটে দলের প্রার্থী বাছাইয়ের ভোট প্রক্রিয়ায় ছাপ্পা দেওয়ার অভিযোগে শোরগোল হয় আরামবাগে। দলীয় সূত্রে খবর, হরিণখোলা ১ অঞ্চল সভাপতি পার্থ হাজারির বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তোলেন এলাকারই কিছু তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, পার্থ সহকর্মী আয়ুব খানের ভোট দিয়েছেন। পার্থ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। দলীয় নেতৃত্বের দাবি, সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম লিখতে আয়ুবের অসুবিধা হওয়ায় পার্থের সাহায্য নিয়েছেন।
এ দিন ট্র্যাক্টরে রোড শো সেরে কিছুটা রাস্তা পায়ে হেঁটেও জনসংযোগ সারেন তিনি। পাঁচটা নাগাদ পৌঁছন তারকেশ্বর মন্দিরে। তত ক্ষণে নদী ঘেরা বিভিন্ন গ্রামের অনেক কর্মী ফিরেও যান। রাধানগরে রাজা রামমোহন রায়ের জন্মস্থানে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন অভিষেক। পরে খানাকুলের বাসিন্দা আঞ্চলিক ইতিহাস বিশেষজ্ঞ দেবাশিস শেঠ এবং রামমোহনের দুই উত্তরসূরী চন্দন রায় এবং নিত্যব্রত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। দেবাশিস বলেন, ‘‘রামমোহন সম্পর্কে অনেক প্রশ্ন ছিল তাঁর। এলাকার উন্নয়নে যা দরকার, তা বলেছি।’’ চন্দন রাজা রামমোহন কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার কথা বলেন।
অভিষেক খানাকুল ২ নম্বর ব্লকের ধান্যগড়ি পঞ্চায়েত এলাকার ১৩টি বন্যা বিধ্বস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের অভিযোগ ছিল, ২০২১ সালের বন্যায় তাঁদের ঘর ভেঙেছে। এখনও সরকারি কোন স্তর থেকে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়নি। এই বিষয়টা নিয়ে আভিষেক স্তানীয় নেতাদের বিস্তারিত জানাতে বলেছেন। সেখান থেকে গোঘাটের কামারপুকুরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের উদেশ্যে রওনা দেন। শ্রীরামকৃষ্ণের বসত ভিটাও ঘুরে দেখেন তিনি। রাতে আরামবাগের সভাস্থলে পৌঁছতে না পারায় দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বক্তৃতা করে সভা শেষ করে দেন। কুণাল জানান, পরে একদিন এই সভা করবেন তিনি।