Abhishek Banerjee

জলঝড়ে বসে থাকতে দেখে কষ্ট হয়, কিন্তু নিয়োগ কে আটকে রেখেছে খুঁজতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের: অভিষেক

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তাঁকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। অভিষেক জানান, সরকার চাকরি দিতে চায়। কিন্তু আইনি জটিলতা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ ২১:২১
Share:

(বাঁ দিকে) চাকরিপ্রার্থীদের ধর্না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।

দিনের পর দিন কলকাতার রাস্তায় চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন যাঁরা, তাঁদের জন্য কষ্ট হয়। বুধবার দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে এমনটাই জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকার চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বলেও দাবি করেন তিনি। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে চাকরি দেওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে অভিষেক কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের দিকে আঙুল তুলেছেন। তবে কোনও বিচারপতির নাম করেননি তিনি।

Advertisement

অভিষেক কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে তাঁকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন নিয়েও প্রশ্ন করা হয়। অভিষেক বলেন, ‘‘সরকার তো চাকরি দিতে চায়। যাঁরা চাকরির দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাঁদের কথা ভাবলে আমাদেরও কষ্ট হয়। ঝড়জল মাথায় নিয়ে ওঁরা দিনের পর দিন রাস্তায় বসে আছেন। আমরাও চাই যোগ্যরা চাকরি পান।’’

কিন্তু চাকরির পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আইনি জটিলতা। অভিষেক জানান, কে বা কারা সেই জটিলতা তৈরি করছে, কারা চাকরি আটকাচ্ছে, তা খুঁজতে হবে চাকরিপ্রার্থীদেরই। তাঁর কথায়, ‘‘আমি যত দূর জানি, রাজ্য সরকার লিখিত ভাবে আদালতকে এ বিষয়ে জানিয়েছিল। যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের চাকরি আদালত বাতিল করে দিয়েছে। সেই নির্দেশ আবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে স্থগিত হয়েছে। ওঁদের চাকরি থাকবে কি না, আদালতের কাছে জানতে চেয়েছিল সরকার। তার পর নতুন নিয়োগ করতে চেয়েছিল। কিন্তু হাই কোর্টের এক বিচারপতি তাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কেন সরকার আবেদন করল!’’

Advertisement

সরকার চাকরি দেওয়ার বিষয়ে সদর্থক ভূমিকা পালন করতে চাইলেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অভিযোগ অভিষেকের। এর পরেই তিনি বলেন, ‘‘কে চাকরি আটকাতে চায়, আইনি জটিলতা কে তৈরি করে, উত্তর চাকরিপ্রার্থীদেরই খুঁজে নিতে হবে।’’

রাজ্যে স্কুল সার্ভিস কমিশন, প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি, গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগে ঢালাও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেই সব মামলা আদালতে বিচারাধীন। একাধিক রায় গিয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে একের পর এক গ্রেফতারিও হয়েছে। কিন্তু চাকরির দাবিতে এখনও পথে আন্দোলনকারীরা। সেই প্রসঙ্গেই বুধবার অভিষেককে প্রশ্ন করা হয়। তিনি আইনি জটিলতার দিকে আঙুল তুললেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement