তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন উদ্যোগ ফাইল চিত্র।
‘দিদিকে বলো’-র ধাঁচে এ বার ‘অভিষেককে বলো’! নিজের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য এ বার একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সেই হেল্পলাইন নম্বরটি প্রকাশ্যে এসেছে। কর্মসূচির নাম–এক ডাকে অভিষেক! হেল্পলাইন নম্বরটি হল, ৭৮৮-৭৭৭৮৮৭৭। এই নম্বরে ফোন করলেই ডায়মন্ডহাোরবার লোকসভা এলাকার বাসিন্দারা তাদের সব সমস্যার সমাধান করতে পারবেন বলে দাবি করা হয়েছে। তাঁর এই পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে একটি পেশাদারি সংস্থা। মূলত তাঁদের পরামর্শ ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই এই অভিনব পন্থা নিতে চলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
সাংসদ হিসেবে অভিষেক নিজের লোকসভা কেন্দ্রের জন্য নানা সময় কর্মসূচি নিয়েছেন। সাংসদের উদ্যোগে এলাকায় হয়েছে এমপি কাপ, এ ছাড়াও, তাঁর সাংসদ কার্যালয়ের দ্বার সর্বদাই অবারিত থাকে বলেই জানিয়েছেন বজবজের বিধায়ক অশোক দেব। লকডাউনের সময় নিজ উদ্যোগে ক্যান্টিনও চালু করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া নানা সময় তাঁর লোকসভার কেন্দ্রের অধীন সাতটি বিধানসভাতে খ্যাতনামী গায়ক-গায়িকাদের এনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। তবে এ বার আরও এক কদম এগিয়ে হেল্পলাইন নম্বর চালু করে ডায়মন্ড হারবারবাসীর আরও কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগী হলেন তিনি। সূত্রের খবর, এই হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করলে স্কুল-কলেজের ভর্তির সমস্যা থেকে শুরু করে চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিষেবা পেতেও আবেদন করা যাবে।
২০১৪ ও ২০১৯ সালের দু’বার ডায়মন্ড হারবার থেকে জিতে সাংসদ হয়েছেন অভিষেক। নানা ভাবে জনতার কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিলেও, এলাকাবাসীর সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলতেই এই নতুন পন্থা নিয়েছেন অভিষেক। শুক্রবার তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের দফতরের পেশাদারি সংস্থা এই হেল্পলাইন নম্বর চালু করার যাবতীয় প্রস্তুতির কাজ হাতেকলমে দেখিয়েছেন তাঁকে। তাঁর সবুজসঙ্কেত দেওয়ার পরেই শনিবার সেই হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ্যে আনা হল।
অনেকই অভিষেকের এই উদ্যোগের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মিল দেখছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের উদ্যোগে একটি হেল্পলাইন নম্বর চালু করে রাজনৈতিক জমি ফেরানোর কাজ শুরু করেছিলেন মমতা। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সেই কর্মসূচির ফলও পেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।
তবে অভিষেকের এই কর্মসূচি কেবলমাত্র তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের জন্যই। রাজ্য রাজনীতিতে এই প্রথম কোনও জনপ্রতিনিধি সরাসরি নিজের কেন্দ্রের জন্য হেল্পলাইন নম্বর চালু করলেন, যা রাজ্য রাজনীতির নতুন নজিরও বটে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।