অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। সেই লড়াইয়ে সমানে সমানে টক্কর দিতে কোমর বেঁধেছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। তাই দলের চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সোমবার বিকেলের বিমানে গোয়া রওনা দিচ্ছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
৪০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভার বহু আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল। এই লড়াই তৃণমূল ময়দানে নামাবে গোয়ার দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে। প্রথম জন দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ লুইজিনহো ফেলেরিও। দ্বিতীয় জন চার্চিল আলেমাও। উভয়েই গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। তা ছাড়াও এই ভোটে তৃণমূলের হয়ে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হতে পারেন প্রাক্তন ভারতীয় টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। তাই প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত করতে তিন দিনের সফরে গোয়া যাবেন অভিষেক। ১৭-২০ জানুয়ারি গোয়ায় থেকে বহু ঘরোয়া বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি। তার পরেই প্রার্থিতালিকা ঘোষণা করবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে পারে বলেই সূত্রের খবর।
অভিষেকের এই গোয়া সফর নির্বাচনী জোটও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে। ইতিমধ্যে গোয়ার বিধানসভা নির্বাচনে গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট করে লড়াইয়ের কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ৪০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় ১২টি আসনে লড়তে চেয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে গোমন্তক পার্টি। জোট এবং আসন রাখার বিষয়টিও নিজের এই তিন দিনের সফরে চূড়ান্ত করে দেবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গোয়ার এক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, অভিষেক এই সফরে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করবেন। সব বৈঠক হবে ঘরোয়া। সেই বৈঠকে দলের প্রার্থিতালিকা যেমন-চূড়ান্ত হবে, তেমনই গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোটের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
তবে এই ভোটপ্রস্তুতিতে খানিক ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। রবিবার কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে আসা বিধায়ক রেগিনানলদো লরেঞ্চ তৃণমূল ত্যাগ করেছেন। তিনি ইতিমধ্যে পার্টির রাজ্য সভাপতিকে চিঠি দিয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগেই প্রাক্তন বিধায়ক লাবলু মামলেদার একাধিক অনুগামী নিয়ে দল ছেড়েছেন। সেই সব ছেড়ে যাওয়া নেতাদের জায়গায় নতুনদের সাংগঠনিক দায়িত্ব দিতে পারেন অভিষেক।