মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দিল্লি সফরে অভিষেকও। — ফাইল চিত্র।
বৃহস্পতিবার দিল্লি সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যাচ্ছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। দিল্লিতে বৃহস্পতিবার বিকেলের মধ্যে পৌঁছে যাবেন তাঁরা। তার পর দলের সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা অভিষেকের।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে মমতার একান্ত বৈঠক রয়েছে। সন্ধ্যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করার কথা রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর সঙ্গে। সেই সাক্ষাতে মমতার সঙ্গে অভিষেকও থাকবেন কি না, তা খুব একটা স্পষ্ট নয়। তবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি, তজ্জনিত সঙ্কট এবং মন্ত্রিসভার রদবদল নিয়ে দলীয় সাংসদদের সঙ্গে অভিষেক বৈঠক করবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। ওই বৈঠকে থাকবেন দলের সর্বময় নেত্রী মমতাও।
পার্থের গ্রেফতারি এবং এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে দিল্লিতেও আলোচনা চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করতে গেলে তৃণমূলের সাংসদদের পাল্টা রাজনৈতিক আক্রমণের মুখে পড়তে হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে দলের রণকৌশল কী হবে, তা নিয়ে সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন অভিষেক।
এসএসসি দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে রাজ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই সরব ছিল বিরোধীরা। পার্থকে ইডির গ্রেফতারের পর থেকে তারা আরও সক্রিয় হয়েছে। কারণ, পার্থের কেলেঙ্কারি তাদের হাতে নতুন ‘অস্ত্র’ তুলে দিয়েছে। দলের এই সঙ্কটসময়ে বিরোধীদের কী ভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়েও দলনেত্রী এবং অভিষেকের সঙ্গে কথা বলবেন রাজ্যসভা এবং লোকসভার সাংসদেরা। যেমন অভিষেক ইতিমধ্যেই বলেছেন, তৃণমূলের মতো অন্য কোনও দল সারা দেশে নিজের দলের কোনও অভিযুক্ত নেতার বিরুদ্ধে এত দ্রুত এবং এত কড়া পদক্ষেপ করতে পারেনি। তিনি জানিয়েছেন, বিজেপিতেও দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অনেক নেতা আছেন। তাঁদের কারও বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি কেন্দ্রের শাসকদল।
প্রসঙ্গত, পার্থ-কাণ্ডে প্রথম থেকেই যৌথ কৌশল নিয়েছে তৃণমূল। একদিকে মমতা যেমন প্রশাসনিক স্তরে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তেমনই দলীয় স্তরে ব্যবস্থা নিয়েছেন অভিষেক। বস্তুত, অভিষেক উদ্যোগী হয়ে এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে নিজের দফতরে বৈঠকও করেছেন। দলের শীর্ষনেতারা মনে করছেন, এই সঙ্কটসময়ে অভিষেক আরও সক্রিয় হয়ে হাল ধরতে ময়দানে নেমেছেন। সেই কারণেই মমতার সঙ্গে তাঁর দিল্লি সফর ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে মনে করছেন দলের নেতা-সাংসদেরা।