মোদী-শাহদের তুলনায় নিজের লোকসভা কেন্দ্রে উন্নয়নমূলক কাজ বেশি করিয়েছেন তিনি, দাবি অভিষেকের। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
নিজের লোকসভা এলাকায় কাজের নিরিখে তিনি হারিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। দাবি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বুধবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের বজবজ বিধানসভা এলাকার বিড়লাপুরের মাঠে বস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বারাণসী, অমিত শাহের গান্ধীনগর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের লখনউয়ের থেকেও উন্নয়নমূলক কাজের নিরিখে এগিয়ে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার। নিজের দাবির সপক্ষে বেশ কিছু পরিসংখ্যানও পেশ করেছেন অভিষেক।
অভিষেক বলেন, ‘‘আমি দায়িত্ব নিয়ে আপনাদের বলছি, ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্য জুড়ে ৫৪৩টি লোকসভা কেন্দ্র রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর লোকসভা কেন্দ্রে যদি এক জনও তথ্য পরিসংখ্যানের নিরিখে দেখাতে পারে যে ডায়মন্ড হারবারে যে কাজ আমি পাঁচ এবং ন’বছরে করেছি, তার অর্ধেক কাজ তাদের লোকসভা কেন্দ্রে হয়েছে, আমি পরের বছর আপনাদের সামনে মুখ দেখাতে আসব না।’’
ডায়মন্ড হারবারে তিন হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে বলেও দাবি করেছেন অভিষেক। ফিরিস্তি দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, বজবজ এলাকার বড় সমস্যা চড়িয়াল খালের উপর ব্রিজ। সাংসদ দাবি করেন, ৫২ কোটি টাকা দিয়ে সেই কাজ হচ্ছে। চড়িয়ালের উপর সেতুর একটি অংশের কাজ হয়ে গিয়েছে, আরও একটি অংশের কাজও শীঘ্রই শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন অভিষেক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জলস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়ের সঙ্গে কথা বলে ডোঙ্গারিয়ার জল প্রকল্প দিয়ে বজবজ এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের বন্দোবস্ত শীঘ্রই করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। পূজালি পুরসভায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্লুইস গেটের কাজ চলছে বলেও জানিয়েছেন অভিষেক। ৫০-৫২ কোটি টাকায় বজবজ পুরসভাতে জল প্রকল্পের কাজ চলছে। কেবলমাত্র বজবজ বিধানসভায় ৬০০ কোটি টাকার রাস্তা নির্মাণ হয়েছে গত ন’বছরে। তাঁর কথায়, ‘‘জেলা পরিষদ, সাংসদ তহবিল, পঞ্চায়েত সমিতি, বিধায়ক তহবিল, পূর্ত দফতর, সেচ দফতর, পঞ্চায়েত দফতর, সব মিলিয়ে তিন হাজার কোটি টাকার কাজ হয়েছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভায়।’’
বস্ত্রদান অনুষ্ঠানে জনতার উদ্দেশে অভিষেক বলেন, ‘‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী কারণ সবার জন্য হয়তো জামাকাপড়ের ব্যবস্থা আমি করতে পারিনি। আপনারা যাঁরা এসেছেন তাঁদের একটা কথা আমি দিতে পারি। নতুন বস্ত্র গ্রহণ করার জন্য পরের বছর থেকে কোনও কর্মসূচিতে আপনাকে হেঁটে বা সাইকেলে বা টোটোয় বা অটোয় বা বাসে করে আসতে হবে না। পরের বার থেকে আমার তরফে পুজোর উপহার আপনার বাড়ির দরজায় আমাদের প্রতিনিধিরা পৌঁছে দিয়ে আসবেন।’’