Abhishek Banerjee

সাগরদিঘির ভোট মিটলেই বিড়ি শ্রমিকদের মজুরিবৃদ্ধি, নিজেকে ‘এক কথার ছেলে’ বললেন অভিষেক

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন। তার আগে রবিবাসরীয় প্রচারে গিয়ে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য বিশেষ প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাগরদিঘি শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ২০:৪২
Share:

সাগরদিঘির সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি ফেসবুক থেকে।

তিনি ‘এক কথার ছেলে’। যা বলেন, তা করে দেখান। আগে জমির পাট্টা দেওয়া হবে বলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মাতকাতপুর গ্রামে গিয়ে। পরে সরকার সেই দাবিপূরণ করেছে। এ বার একই ভাবে ‘কথা’ দিলেন মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির বিড়ি শ্রমিকদের। অভিষেকের প্রতিশ্রুতি, শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানো হবে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায় আশায় বুক বেঁধেছেন বিড়ি বাঁধার শ্রমিকরা।

Advertisement

রবিবার অভিষেক বলেছেন, ‘‘৯০০ বিড়ি বাঁধলে ১৬৫ টাকা আর হাজার বিড়ি বাঁধলে দেওয়া হয় ১৭৮ টাকা। নির্বাচনের পর এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে যাতে ১৭৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০-২৪০ টাকা করা যায়, সেটা দেখব।’’ এর পরই সেই মাতকাতপুরবাসীর মন জেতার ভঙ্গিতে তৃণমূলের ‘সেনাপতি’ বলেছেন, ‘‘আমি এক কথার ছেলে। যা বলি, তা করি।’’

আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন। তার আগে রবিবাসরীয় প্রচারে গিয়ে বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিষেক। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে যা আলাদা গুরুত্ব পেয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, অভিষেক যে কথা দিয়ে কথা রাখেন, তার জ্বলন্ত উদাহরণ মাতকাতপুর। গত ৪ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে সভা ছিল অভিষেকের। সভায় পৌঁছনোর আগে আচমকাই গাড়ি থামিয়ে খড়্গপুর-১ ব্লকের বড়কোলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মাতকাতপুর গ্রামে ঢুকে পড়েন তিনি। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে কাছে পেয়ে অভাব অভিযোগ জানান গ্রামবাসীদের অনেকেই। সবার সঙ্গে কথা বলে অভিষেক জানতে পারেন, সেখানে ৯০টি বাড়িতে ১৫০ পরিবারের বাস। কিন্তু বাড়িগুলি সেচ দফতরের জমিতে রয়েছে। এই কারণে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা থেকে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। জমির পাট্টা পাওয়ার আর্জি জানান গ্রামবাসীরা। অভিযোগ শুনতে শুনতেই গ্রামের পথে ঘুরতে থাকেন অভিষেক। গ্রামবাসীদের উপস্থিতিতেই সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিককে ফোন করেন। যা শুনেছেন তাই বলেন ফোনে। কী করে ওই পরিবারগুলি পাট্টা পেতে পারে তা দেখার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। অভিষেকের এই ঝটিকা সফরের পর দিনই মাতকাতপুরে সরকারি শিবির করে জমির আবেদনপত্র নেওয়া হয়। গত শুক্রবার এলাকার ২০৯ জনকে জমির পাট্টা দেওয়া হয়।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটের আগে মাতকাতপুরে গিয়ে দ্রুততার সঙ্গে সমস্যা মিটিয়ে অভিষেক বাজিমাত করেছেন বলেই মনে করছেন সেখানকার তৃণমূল নেতৃত্ব। মাতকাতপুর ‘মাত’ করার পর এ বার ভোটমুখী সাগরদিঘিতে গিয়ে যে ‘কথা দিলেন’ অভিষেক, তা এই পর্বে নতুন মাত্রা যোগ করল। সভা মঞ্চ থেকেই জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা বিড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা চালানো জাকির হোসেন এবং সাংসদ খলিলুর রহমানের উদ্দেশে বলেন, ‘‘এখানে জাকির ভাই আছেন, খলিলুর ভাই আছেন, তাঁদের অনুরোধ করব, অনেক মহিলা কাজ করেন। অ্যাসোসিয়েশনকে অনুরোধ করব, কী করে বাড়ানো যায় (বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি) অগ্রাধিকার দিয়ে দেখতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব এটা করুন। কথা দিয়ে যাচ্ছি ২৩০-২৪০ টাকা করব।’’ অভিষেকের এই কথা শুনে হাততালিতে ফেটে পড়ে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement