গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ হাজিরা দিলেন আসানসোলের সিবিআই আদালতে। ফাইল চিত্র।
গরু পাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বৃহস্পতিবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। লতিফের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু বলেন, ‘‘মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট যে হেতু লতিফের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, তাই আমরা আজই জামিনের আবেদন করব।’’
সম্প্রতি রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডেও নাম জড়িয়েছিল লতিফের। তাই তাঁর আত্মসমর্পণের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই আসানসোল আদালত চত্বরে পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে আঁটসাঁট করা হয়েছিল। সকাল ৯টার আগেই আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হন লতিফ। গত বছরের ৮ অগস্ট সিবিআই আসানসোলের বিশেষ আদালতে গরু পাচার মামলায় যে সাপ্লিমেন্টারি (তৃতীয়) চার্জশিট জমা দিয়েছিল, সেখানেই উল্লেখ করা হয়েছে ইলামবাজার ব্লকের বাসিন্দা লতিফের নাম।
সিবিআই চার্জশিটে উল্লেখ করেছে, গরু পাচারে ফুলেফেঁপে ওঠা লতিফের মতো ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ‘প্রভাবশালী’দের কাছে গিয়েছে। সিবিআই সূত্রের দাবি, শুধু এনামুল নয়, বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সহগল হোসেনের কাছ থেকেও নাম পাওয়া গিয়েছে লতিফের।
সহগল, অনুব্রতের গ্রেফতারির পরে তাই গরু পাচারকাণ্ডে ‘অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত লতিফকে তাই গ্রেফতার করতে সক্রিয় হয়েছিল সিবিআই। কিন্তু তাঁর খোঁজ মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে গরু পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চলতি মাসের গোড়ায় লতিফকে দিল্লির দফতরে তলব করেছিল আর এক তদন্তকারী সংস্থা ইডি। কিন্তু অসুস্থতার কারণ জানিয়ে তিনি যাননি।
তবে মঙ্গলবার লতিফকে স্বস্তি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আসানসোলের সিবিআই বিশেষ আদালত লতিফের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। সুপ্রিম কোর্ট তা থেকে লতিফকে রক্ষাকবচ দেয়। তবে একই সঙ্গে লতিফকে বৃহস্পতিবারের (২৭ এপ্রিল) মধ্যে সিবিআই আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশও দেয় শীর্ষ আদালত।