Kochi Ragging Incident

গায়ের রং নিয়ে বার বার খোঁটা! ছেলে ২৬ তলার ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁপ দেওয়ার পর র‌্যাগিং-বর্ণনা মায়ের

গত ১৫ জানুয়ারি কোচির ২৬ তলার ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে ১৫ বছরের মিহির। অভিযোগ, স্কুলে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিল সে। তা সহ্য করতে না-পেরেই চূড়ান্ত পদক্ষেপ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১২:৩৩
Share:
কোচিতে ২৬ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে মিহির আহমেদ।

কোচিতে ২৬ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে মিহির আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত।

স্কুলে র‌্যাগিংয়ের শিকার হয়েছিল কেরলের ১৫ বছরের স্কুলছাত্র মিহির আহমেদ। মৃত্যুর দু’সপ্তাহ পরে এমনটাই অভিযোগ করলেন তার মা। কী ভাবে স্কুলের সহপাঠী এবং সিনিয়র ছাত্রেরা তাকে র‌্যাগিং করেছে, তার বর্ণনাও দিয়েছেন মা। অভিযোগ, গায়ের রং নিয়ে বার বার খোঁটা দেওয়া হত কিশোরকে। এমনকি, স্কুলের শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে কমোড চাটতেও বাধ্য করা হয়েছিল তাকে। এই আচরণ সহ্য করতে না-পেরে আত্মঘাতী হয়েছে মিহির, দাবি তার মায়ের। থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের দফতরে।

Advertisement

গত ১৫ জানুয়ারি কোচির ২৬ তলার ফ্ল্যাট থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করে মিহির। স্কুল থেকে ফেরার কিছু পরেই মৃত্যু হয় তার। পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে। মিহিরের মা জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর স্বামী মিহিরের স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঘেঁটে দেখেছেন তার সঙ্গে অন্যান্য ছাত্রের চ্যাট। তা থেকেই তাঁরা র‌্যাগিং সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।

মিহিরের মা লিখেছেন, ‘‘আমার ছেলেকে স্কুলে মারধর করা হত, গালিগালাজ করা হত। শেষ দিনেও তাকে এমন অপমান সহ্য করতে হয়েছে, যা আমরা কল্পনা করতে পারি না। জোর করে ওকে শৌচাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কমোড চাটতে বাধ্য করা হয়েছিল। ওর মুখ কমোডের ভিতরে ধরে রাখা হয়েছিল। এই নিষ্ঠুরতা ও সহ্য করতে পারেনি। ওর গায়ের রং কালো বলে বার বার ওকে অপমান করা হত। মৃত্যুর পরেও ওকে নিয়ে সহপাঠীরা মজা করেছে। মোবাইলের চ্যাটে তার প্রমাণ রয়েছে।’’

Advertisement

অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাঁদের কাছে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। পুলিশকে সব তথ্য জমা দিয়ে দায় সেরেছেন তাঁরা। কিন্তু ছেলের শোক ভুলতে পারছেন না মা। তিনি বিচার চাইছেন। পুলিশ-প্রশাসন এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন তিনি। তাঁর আশঙ্কা, দ্রুত পদক্ষেপ না-করলে অনেক তথ্য হারিয়ে যেতে পারে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement