Samsherganj

‘আগমনী’র শেষযাত্রায় পা মেলালেন শেরপুরবাসী, সৌজন্যে মাবিয়া বিবিরা

স্থানীয় সূত্রে খবর, সমাশেরগঞ্জের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর নব্বইয়ের আগমনী হালদার দীর্ঘদিন ধরে একাই থাকতেন। তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা সকলেই বাইরে থাকেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সামশেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ১৪:৫৩
Share:

আগমনী হালদারের দেহ ঘিরে পড়শিরা। —নিজস্ব চিত্র।

আত্মীয়স্বজনের অনুপস্থিতিতে নবতিপর এক বৃদ্ধার দেহ সৎকার করতে এগিয়ে এলেন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়শিরা। শুক্রবার এমন ছবিই দেখা গেল মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকার এক প্রত্যন্ত গ্রামে। ধর্মীয় হানাহানির খবরই যখন বেশির ভাগ সময় শিরোনামে উঠে আসে, সেই সময় যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির গড়লেন মুর্শিদাবাদের এক অখ্যাত গ্রামের মানুষেরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, সমাশেরগঞ্জের শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর নব্বইয়ের আগমনী হালদার দীর্ঘদিন ধরে একাই থাকতেন। তাঁর আত্মীয়স্বজনেরা সকলেই বাইরে থাকেন। মূলত ভিক্ষাবৃত্তি করেই সংসার চালাতেন আগমনী। শুক্রবার হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এর পর নিজের বাড়িতেই মারা যান। তাঁর পড়শিরা সে কথা জানতে পারলেও দেহ সৎকারের জন্য এগিয়ে আসছিলেন না।

আগমনীর দেহ ঘিরে যখন পড়শিদের মধ্যে টানাপড়েন চলছে, সে সময়ই এগিয়ে আসেন এলাকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। মাবিয়া বিবি, বেবি বিবিদের উদ্যোগে জড়ো হন এলাকার যুবকেরাও। তার পর ছুটে আসেন ওই বৃদ্ধার পড়শিরাও। তাঁর শেষযাত্রায় পা মেলান এলাকার লোকজনেরা। এর পর আগমনীর বাড়িতেই তাঁর দেহ ‘সমাধি’ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন মাবিয়া বিবিরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement