Crime

সোশ্যাল সাইটে সুপার ইমপোজ করা অশ্লীল ছবি পোস্ট, লজ্জায় আত্মঘাতী কিশোরী

গত ৮ অক্টোবর জগদ্দল থানায় অভিযোগও জানান ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জগদ্দল শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২০ ১৯:৪৬
Share:

শোকস্তব্ধ নিকিতার পরিবার। নিজস্ব চিত্র

সুপার ইমপোজ করা অশ্লীল ছবি ছড়ানো হয়েছিল সোশ্যাল সাইটে। লজ্জায় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হল কিশোরী। সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার শ্যামনগরে। ঘটনায় পুলিশি গাফিলতির অভিযোগও উঠেছে। তার প্রতিবাদে এ দিন রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

মৃত কিশোরী গারুলিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে তার ছবি সুপার ইমপোজ করে একটি ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হয়। ওই ঘটনা জানাজানি হতেই চরম অস্বস্তিতে পড়ে কিশোরী। এ নিয়ে গত ৮ অক্টোবর জগদ্দল থানায় অভিযোগও জানান ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পুলিশ তাতে কান দেয়নি বলে অভিযোগ তার আত্মীয় পরিজনদের। তাদের দাবি, শেষ পর্যন্ত অপমানে আত্মহত্যা করে ওই ছাত্রী। এ দিন তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

অস্বাভাবিক মৃত্যুর এই খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় দেহ রেখে শুরু হয় বিক্ষোভ। তাঁরা তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকের শাস্তির দাবিও তোলেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে যথাযথ তদন্তের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: দলের বক্তব্য বলার জন্য বিভিন্ন নেতার সাপ্তাহিক ‘রস্টার’ বেঁধে দিল তৃণমূল

আরও পড়ুন: বোন রেণুকা মাড্ডির হাতে ভাইফোঁটা নিলেন অধীর

স্থানীয় বাসিন্দা বাপি ওরাঁও বলেন, ‘‘ওই কিশোরী ভাল মেয়ে ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে তাকে উত্ত্যক্ত করা হচ্ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওর ছবি সুপার ইমপোজ করে পোস্ট করা হয়েছিল। পুলিশকে সব জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ কোনও গুরুত্ব দেয়নি। শেষ পর্যন্ত লজ্জার হাত থেকে বাঁচতে মেয়েটা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হল। অপরাধী তো দোষী বটেই। পুলিশও এই ঘটনার জন্য সমান ভাবে দায়ী। ওরা একটু সক্রিয় হলেই মেয়েটাকে বাঁচানো যেত।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement