—ফাইল চিত্র।
সিজিও কমপ্লেক্সে মন্ত্রী জ্য়েতিপ্রিয় মল্লিককে দেখে গেলেন চিকিৎসক। ইডির দফতরে তিন দিন পার করলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী। তার আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সুগারের রোগী জ্যোতিপ্রিয়ের গত দু’দিনে কোনও শারীরিক পরীক্ষা নীরিক্ষা হয়নি। ইডি হেফাজতে ৪৮ ঘণ্টা থাকার পর বৃহস্পতিবার তাঁকে দেখতে এলেন চিকিৎসক। আবার বৃহস্পতিবারই সিজিও দফতরে এলেন মন্ত্রীর প্রাক্তন এবং বর্তমান আপ্তসহায়কও।
গত মঙ্গলবার রাতে হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরেই মন্ত্রীকে নিয়ে সিজিওতে চলে এসেছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, তাঁর শারীরিক পরীক্ষা নীরিক্ষায় গুরুতর চিন্তার কিছু পাওয়া যায়নি। এর পরে বুধবার সকাল থেকেই রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে জ্যোতিপ্রিয়কে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে ইডি। বুধ এবং বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় জেরার মাঝেই মন্ত্রীকে দেখতে চিকিৎসক আসেন সিজিওতে। যা নিয়মমাফিক ভিজিট বলেই ইডি সূত্রে খবর। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতিতে যখন রাজ্য়ের প্রাক্তনমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ইডি হেফাজতে ছিলেন, তখনও দু’দিন অন্তর তাঁকে দেখে গিয়েছেন চিকিৎসক। কিছু দিন অন্তর অন্তর পার্থকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। একই ভাবে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের স্বাস্থ্যের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে।
তবে বৃহস্পতিবার মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়ের (যিনি বালু নামেও পরিচিত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে ওই নামেই ডাকেন ) জেরা চলাকালীন তাঁর প্রাক্তন এবং বর্তমান আপ্তসহায়কও এসে পৌঁছন। রেশন বণ্টন দুর্নীতির তল্লাশি অভিযানে এই দু’জনের বাড়িতেই নজর পড়েছিল ইডির। বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসকে কিছু নথিপত্র নিয়ে ঢুকতে দেখা যায় সিজিওতে। রাত ৮.৪৫ নাগাদ তিনি ইডি দফতর থেকে বেরিয়েছেন। বেরিয়ে সাংবাদিকদের অভিজিৎ বলেন, ‘‘আমার কাছ থেকে যা তথ্য, নথি চেয়েছিল, জমা দিয়েছি। আমি ১০ বছর আগে আপ্তসহায়কের কাজ ছেড়ে দিয়েছি। তার পর আর কিছুই জানি না।’’
ইডি সূত্রে জানা যায়, মন্ত্রীর বর্তমান আপ্তসহায়ক অমিত দেকেও ডেকে পাঠানো হয় ইডির তরফে। তাঁর কাছ থেকে কিছু তথ্য জানতে চায় ইডি। অমিত সিজিওতে এসে কিছু ক্ষণ থাকার পর বেরিয়ে যান।
ওই সমস্ত নথি এবং তথ্য রেশন বণ্টন দুর্নীতির তদন্তে মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে কাজে লাগবে কি না তা স্পষ্ট নয়, তবে যেহেতু মন্ত্রী বালু ইডি হেফাজতে থাকাকালীনই নথি এবং তথ্য চেয়ে তাঁর প্রাক্তন এবং বর্তমান আপ্তসহায়ককে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তাই অনুমান, মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে সেই সব তথ্য এবং নথি জরুরি হতে পারে।