(বাঁ দিকে) কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ্। —ফাইল চিত্র।
জম্মু ও কাশ্মীরের ভোট মিটেছে। সরকার গঠন হয়েছে। কিন্তু পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা এখনও ফেরেনি। রয়ে গিয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়েই। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ্। আলোচনায় একটি বড় অংশ জুড়ে জায়গা পেল পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর দাবি।
এ বারে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে আঞ্চলিক দলগুলির অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল, ক্ষমতায় এলে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা ফেরানো হবে। ওমর মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন গত ১৬ অক্টোবর। তার পর থেকে দু’মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। এই দু’মাসের মধ্যে দু’বার শাহের সঙ্গে বৈঠক করলেন তিনি। দু’বারের বৈঠকেই মূল আলোচ্য বিষয় হয়ে থাকল জম্মু ও কাশ্মীরের পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদার প্রসঙ্গ।
অক্টোবরে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসার এক সপ্তাহের মাথায় গত ২৩ অক্টোবর ওমর প্রথম বৈঠক করেন শাহের সঙ্গে। প্রথমে দু’পক্ষের থেকেই সেটিকে সৌজন্য সাক্ষাৎ হিসাবেই ব্যাখ্যা করা হয়। পরে বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ওই বৈঠকেও জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদার প্রসঙ্গ উঠে এসেছিল। এ বারের বৈঠকেও পূর্ণ রাজ্যের জন্য কাশ্মীরের আমজনতার দাবি শাহের দরবারে পৌঁছে দিলেন ওমর।
বুধবারই ওমর জানিয়েছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব জম্মু ও কাশ্মীরের রাজ্যের মর্যাদা ফেরাতে পদক্ষেপ করা প্রয়োজন। একটি সম্ভাব্য সময়সীমা স্থির করার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্র যে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করবে, তা নিয়েও আশাবাদী ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার শাহের সঙ্গে বৈঠকে এই বিষয়গুলির প্রতিফলন দেখা গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের মাধ্যমে বিলুপ্ত হয় জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা। ওই সময়েই জম্মু ও কাশ্মীরের থেকে লাদাখকে পৃথক করে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এ বারের লোকসভা ভোটের প্রচারে জম্মুতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও আশ্বাস দিয়েছিলেন, দ্রুত বিধানসভা ভোট হবে এবং তার পর রাজ্যের মর্যাদাও ফেরানো হবে। বিধানসভা ভোট মিটেছে। এ বার তাই রাজ্যের মর্যাদা ফেরানোর জন্য কেন্দ্রকে চাপে রাখতে চাইছেন ওমর।