তারকেশ্বর মন্দির রোড এলাকায় ওই হোটেলের মালিক সীতারাম পাল জানিয়েছেন, তারকেশ্বরের মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন ওই যুগল।
প্রতীকী ছবি।
তারকেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য হোটেলে উঠেছিলেন এক যুগল। জানিয়েছিলেন, এক দিনের মধ্যে হোটেল ছেড়ে চলে যাবেন তাঁরা। তবে সকালে হোটেলের ঘর থেকে একই ওড়নার ফাঁসে মিলল তাঁদের ঝুলন্ত দেহ। অভিযোগ, স্বামী-স্ত্রীর পরিচয়ে হোটেলে রাত্রিবাস করা মধ্য কুড়ির ওই যুগল একই ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। পুজো দেওয়ার জন্য হোটেলে এসে কেন ‘আত্মঘাতী’ হলেন যুগল, তা খতিয়ে দেখছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম পূজা হাজরা (২৫) এবং বাপন ঘোষ (২৬)। তাঁদের দু’জনেরই বাড়ি বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বর থানা এলাকায়। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
তারকেশ্বর মন্দির এলাকায় দর্শনার্থীদের জন্য অসংখ্য হোটেল-লজ গড়ে উঠেছে। হোটেলের থেকে প্রায় ঢিলছোড়া দূরত্বে তারকেশ্বর থানা। এক রাতের মধ্যেই সেখানকার একটি হোটেলের ঘর থেকে জোড়া দেহ উদ্ধারে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
তারকেশ্বর মন্দির রোড এলাকায় ওই হোটেলের মালিক সীতারাম পাল জানিয়েছেন, তারকেশ্বরের মন্দিরে পুজো দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন ওই যুগল। তবে ওই যুবকের কর্মক্ষেত্রে ছুটি থাকায় শুক্রবার তাঁদের হোটেল ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল। সীতারাম বলেন, ‘‘স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে হোটেলে ঢুকেছিলেন ওঁরা। বর্ধমান থেকে এসেছিলেন বলেও জানিয়েছিলেন। আমাদের বলেছিলেন, সকালে মন্দিরে পুজো দিয়ে হোটেল ছেড়ে চলে যাবেন। তবে আজ সকালবেলা ৯টা বেজে গেলেও হোটেলের ঘর থেকে বার হননি। এটা জানার পর আমি পুলিশ ডাকি।’’
তারকেশ্বর থানার পুলিশ এসে হোটেলের দরজা ভেঙে দু’জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, সিলিং ফ্যানে একটি ওড়নায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন দু’জনে। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।