US New Orleans Attack

আমেরিকায় দু‌ষ্কৃতী হানাকে ‘সন্ত্রাসবাদী’ হামলা বলে উল্লেখ মোদীর, ১৫ জনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ

আমেরিকার নিউ অরলিন্স শহরে বর্ষবরণের উৎসবের মাঝে দুষ্কৃতী হামলা হয়। ভিড়ের মধ্যে গাড়ি তুলে দিয়ে বহু মানুষকে পিষে দেয় ঘাতক। ভিড়ে এলোপাথাড়ি গুলিও চালায়। মৃত্যু হয় ১৫ জনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:৪৭
Share:

আমেরিকার নিউ অরলিন্স শহরে হামলার নিন্দা করেছে ভারত। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকার নিউ অরলিন্স শহরে দুষ্কৃতী হানাকে ‘সন্ত্রাসবাদী হামলা’ বলে উল্লেখ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই হামলার নিন্দা করেছেন তিনি। সেই সঙ্গে ১৫ জনের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশও করেছেন।

Advertisement

নিউ অরলিন্সের ঘটনা নিয়ে মোদী সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘নিউ অরলিন্সে কাপুরুষোচিত সন্ত্রাসবাদী হামলার তীব্র নিন্দা করছি আমরা। এই হামলায় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের জন্য সমবেদনা রইল। এই কঠিন সময়ে ঈশ্বর তাঁদের শক্তি দিন।’’

নতুন বছরের প্রথম দিনেই দুষ্কৃতী হামলা ঘটে নিউ অরলিন্সে। ভিড়ে ঠাসা জায়গায় আচমকা তীব্র গতিতে গাড়ি চালিয়ে ঢুকে পড়ে ঘাতক। বর্ষবরণের উদ্‌যাপনে ব্যস্ত লোকজনের গায়ের উপরে তুলে দেওয়া হয় গাড়ি। বহু মানুষ গাড়ির চাকায় পিষে গিয়ে বা গাড়ির ধাক্কায় জখম হন। এর পর ওই গাড়ি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। যুবক গাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে ভিড়ের মধ্যে নির্বিচারে গুলি চালায়। কিছু ক্ষণের মধ্যেই অবশ্য পুলিশের পাল্টা গুলিতে ঘাতকের মৃত্যু হয়।

Advertisement

আমেরিকার ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। ঘাতক যুবককে ৪২ বছরের শামসুদ্দিন জব্বর হিসাবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। সে আমেরিকার নাগরিক এবং টেক্সাসের বাসিন্দা। তার গাড়ি থেকে জঙ্গি সংগঠন আইএসের পতাকা পাওয়া গিয়েছে। ওই সংগঠনের সঙ্গে যুবক যুক্ত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। গাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং একাধিক বিস্ফোরক পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে। আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) জানিয়েছে, হামলায় অভিযুক্ত যুবক আগে আমেরিকার সেনাবাহিনীতে কাজ করত। ২০০৭ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সে আমেরিকান সেনার নিয়মিত সদস্য ছিল। তার পর ২০২০ পর্যন্ত সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য হিসাবে কাজ করেছে।

আমেরিকার গোয়েন্দাদের অনুমান, জব্বর একা নয়। আরও অনেকে এই হামলার নেপথ্যে জড়িত। তাদের উদ্দেশ্য কী, জানার চেষ্টা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement