রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে হাই কোর্টের রক্ষাকবচ দেওয়ার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এ বার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হলেন আইনজীবী আবু সোহেল।
সোমবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এই বিষয়ে মামলা দায়েরের অনুমতি মিলেছে আদালতের তরফে।
গত ৮ ডিসেম্বর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ২৬টি এফআইআর-এর উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন বিচারপতি মান্থা। একই সঙ্গে বিচারপতি তাঁর নির্দেশে জানান, আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন করে কোনও এফআইআর দায়ের করা যাবে না শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
মামলাকারীর আইনজীবীর দাবি, পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার থানায় দায়ের হওয়া একটি মামলায় তিনি অন্যতম পক্ষ। তাঁর বক্তব্য না শুনেই রায় দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, তাঁর বিরুদ্ধে হয়ে চলা একের পর এক এফআইআরের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। আদালতের কাছে তাঁর আবেদন ছিল, হয় এফআইআরগুলি খারিজ করে দেওয়া হোক, নয়তো অভিযোগের তদন্ত করুক সিবিআই। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার পর্যবেক্ষণ ছিল, শুভেন্দু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি মানুষের ভোটে নির্বাচিত। পুলিশ নিজে অথবা অন্য কারও নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি বিরোধী দলনেতার কর্তব্য স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে।
বস্তুত, আগেই শুভেন্দুকে এ বিষয়ে রক্ষাকবচ দিয়েছিল আদালত। তার পরেও কী ভাবে এত এফআইআর তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়, সে বিষয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি।