—প্রতীকী চিত্র।
তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিল কিশোর। অনেক খোঁজাখুঁজির পর রবিবার সকালে সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল তার দেহ। ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হুগলির চাঁপদানি এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত কিশোরের নাম মহম্মদ রেহান (১৫)। কেবিএম রোডের বাসিন্দা। গত ১৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পরিবারের তরফে থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করার পরেই তদন্তে নামে পুলিশ। নানা জায়গায় তল্লাশিও চালানো হয়। অবশেষে রবিবার চাঁপদানির একটি জুটমিলের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে রেহানের দেহ উদ্ধার হয়। বাবা মহম্মদ মুক্তার ভদ্রেশ্বর থানায় গিয়ে দেহ শনাক্ত করেন। পরে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, পরিবারের লোকেদের থেকে জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তিন বন্ধুর সঙ্গে খেলতে গিয়েছিল রেহান। তার পর আর সে বাড়ি ফেরেনি। তদন্তে নেমে ওই তিন বন্ধুকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। তারাই পুলিশকে জানায়, খেলতে গিয়ে ইলেকট্রিক শক খেয়ে পড়ে গিয়েছিল রেহান। কিন্তু কী ভাবে এবং কী কারণে মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ময়নাতদন্তের পরেই সবটা পরিষ্কার হবে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি বলেন, ‘‘কিশোর নিখোঁজ ছিল। কী হয়েছিল, তা জানতে সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’