Rural Development

Rural Development: সামনে পঞ্চায়েত ভোট! গ্রামীণ উন্নয়নে ২২ দফতরে ৫৩৮ কোটি বরাদ্দ নবান্নের

অর্থ দফতর সূত্রে খবর, আরআইডিএফের অধীনে সবথেকে বেশি টাকা পাবে পূর্তদফতর। ১৩৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা পাবে তারা। জলসম্পদ দফতর পাবে ৬৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর পাবে ৫০ কোটি।বিদ্যুৎ দফতর পাবে ৩৮ কোটি ৭৫ লক্ষ। স্বাস্থ্য ও শিক্ষাদফতরের জন্য সমপরিমাণ বরাদ্দ করেছে অর্থ দফতর। তাঁরা পাবে ২৫ কোটি টাকা করে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০২২ ১৭:৪১
Share:

নবান্ন। প্রতীকী ছবি

আগামী বছর এপ্রিল মে মাসে পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে। তাই এক বছর আগে থাকতেই গ্রামীণ উন্নয়নে বরাদ্দ বাড়ানো শুরু করল রাজ্য সরকার।গ্রামীণ এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্নকাজের জন্য ২২টি দফতরকে প্রথম পর্যায়ে ৫৩৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করল নবান্ন। সূত্রের খবর,রুরাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট ফান্ড (আরআইডিএফ) প্রকল্পের অধীনে এই অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। অর্থ দফতর জানিয়েছে,চলতি আর্থিক বছরের বাজেট বরাদ্দ থেকেপ্রথম পর্যায়ে ২৫ শতাংশ দফতরগুলিকে দেওয়া হল।

Advertisement

অর্থ দফতর সূত্রে খবর, আরআইডিএফের অধীনে সবথেকে বেশি টাকা পাবে পূর্তদফতর, ১৩৭ কোটি ৫০ লক্ষ।জলসম্পদ দফতর পাবে ৬৩ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর পাবে ৫০ কোটি।বিদ্যুৎ দফতর পাবে ৩৮ কোটি ৭৫ লক্ষ।স্বাস্থ্য ও শিক্ষাদফতরের জন্য সমপরিমাণ বরাদ্দ করেছে অর্থ দফতর। তাঁরা পাবে ২৫ কোটি টাকা করে।

খাদ্যদফতর পাবে ১৫ কোটি টাকা। এছাড়াও, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন, সুন্দরবন উন্নয়ন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন, সমবায়, নারী শিশু ও সমাজ কল্যাণ, কৃষি, কৃষি বিপণন, প্রাণিসম্পদ, স্বরাষ্ট্র ও পার্বত্য উন্নয়ন, ছোট ও মাঝারি শিল্পদফতরের জন্য অর্থ দফতর বরাদ্দ করছে। তবে অন্যান্য দফতরের তুলনায় তাদের বরাদ্দের পরিমাণ কিছুটা হলেও কম।

Advertisement

এই বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেচদফতরকে। এই বরাদ্দে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩.৫৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। পরে আবারও ৫৮ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। বর্ষার আগে গ্রামীণ ক্ষেত্রে পরিকাঠামো তৈরির কাজ যাতে দ্রুত করা যায়, সে জন্য এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। মূলত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলির কথা মাথায় রেখেই এই বরাদ্দ করা হয়েছে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।

তবে সবচেয়ে জোর দেওয়া হয়েছে, রাস্তা, সেতু ও বাঁধ তৈরির কাজে। তবে বর্ষার মরসুম শুরুর আগেই বরাদ্দ অর্থেরাস্তাঘাট ও বাঁধ সংস্কারের কাজে অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে নবান্ন থেকেই। যে কারণে সেচ ও পূর্তদফতরকে সবথেকে বেশি অর্থ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যায়, বর্ষার মরসুম কথা বলা হলেও এই বরাদ্দের পিছনে রয়েছে আগামী বছরের পঞ্চায়েত ভোটের নীল নকশা। চলতি বছর থেকেই যদি এই পরিমাণ অর্থ গ্রামীণ অর্থনীতিতে পৌঁছে দেওয়া যায়, তাহলে তা শাসকদলের পক্ষেই আসবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement