রবিবার সল্টলেকের ইজেডসিসিতে সর্বভারতীয় সম্মেলনে ডিওয়াইএফআইয়ের সভাপতি রইলেন কেরলের কে. কে. রহিম সাধারণ সম্পাদক হলেন হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য। নিজস্ব চিত্র
১১ বছরের বেশি বাংলায় ক্ষমতায় নেই সিপিএমে। লোকসভা থেকে বিধানসভা, বাংলার ভাঁড়ার শূন্য সিপিএমের। তা সত্ত্বেও এ কে গোপালন ভবনের কাছে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের গুরুত্ব এতটুকু কমেনি তা আবারও বোঝা গেল সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের ১১তম সর্বভারতীয় সম্মেলনের শেষ দিনে। রবিবার সল্টলেকের ইজেডসিসিতে সর্বভারতীয় সম্মেলনের শেষ পর্বে নতুন কমিটি গঠিত হল। নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হলেন বাংলার প্রতিনিধি হিমঘ্নরাজ ভট্টাচার্য।
যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক পদ ফের বাংলার দখলে থাকায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি রাজ্য সিপিএম সিপিএম। আর ওই সংগঠনের সভাপতির দায়িত্বে রইলেন কেরলের এ. এ. রহিম। তিনিই যুব সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। তাঁকেই ওই পদে রেখে দেওয়া হল। সাধারণ সম্পাদক পদে অভয় মুখোপাধ্যায়কে সরিয়ে হিমঘ্নকে দায়িত্বে আনা হল। এর আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ডিওয়াইএফআইয়ের সম্পাদক ছিলেন তিনি। সেই সময় থেকেই সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুজন চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত এই যুবনেতা।
সিপিএমের এক নেতার কথায়, ডিওয়াইএফআইয়ের সাধারণ সম্পাদক পদে বরবারই বাংলার প্রভাব। কারণ আটের দশকে যখন পথ চলা শুরু করে ডিওয়াইএফআই, সেই সময় বাংলা সিপিএমের যুবনেতা হান্নান মোল্লা সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন। এমনকি, সিপিএমের বর্তমান রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, সুজন চক্রবর্তী, শমীক লাহিড়ী, তাপস সিংহ, কল্লোল রায় ও অভয় মুখোপাধ্যায়ও ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় কমিটিতে ছিলেন। সেই রীতি বজায় রাখায় সাফল্য পেল বাংলা সিপিএমের যুব সংগঠনের বর্তমান প্রজন্ম।
সিপিএমের যুব সংগঠনের রাজনীতিতে অতি পরিচিত নাম হিমঘ্ন। যাদবপুরের বাসিন্দা এই যুবনেতা। কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র তিনি। বছর দুয়েক আগে যুব সংগঠনে তাঁকে কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। সেই সময় থেকেই আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে জল্পনা ছিল, যুব সংগঠনের বড় কোনও দায়িত্ব আনা হতে পারে এই যুবনেতাকে। সেই জল্পনা সত্যি করেই রবিবার সিপিএমের যুব সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকহলেন হিমঘ্ন।