SBSTC

পুজোয় স্বস্তি! এক সপ্তাহের ধর্মঘটে ইতি টানলেন অস্থায়ী শ্রমিকরা, রাস্তায় নামল ৪০০ সরকারি বাস

গত প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের এসবিএসটিসি-র ডিপো ও টার্মিনাসগুলিতে মাসে ২৬ দিন কাজ-সহ একঝাঁক দাবিতে আন্দোলনের জেরে বন্ধ ছিল সরকারি বাস পরিষেবা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৪:২৯
Share:

ফের সচল সরকারি বাস। ফাইল চিত্র।

অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীদের ধর্মঘট উঠতেই রাস্তায় নামল দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের (এসবিএসটিসি) প্রায় ৪০০টি সরকারি বাস। গত প্রায় এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের এসবিএসটিসি-র ডিপো ও টার্মিনাসগুলিতে, মাসে ২৬ দিন কাজ-সহ একঝাঁক দাবিতে আন্দোলন শুরু করে সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছিলেন অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীরা। তাতে প্রভাব পড়েছিল জনজীবনে। বিশেষ করে জেলায় জেলায় গ্রামীণ এলাকার মানুষজন ব্যাপক সমস্যায় পড়েছিলেন। তারই মধ্যেই শারদোৎসব এসে যাওয়ায় চাপ বাড়ছিল রাজ্য সরকারের ওপর। কিন্তু মঙ্গলবার পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী আশ্বাস দেওয়ায় সেই সমস্যার আপাতত সমাধান হয়ে গিয়েছে। ধীর গতিতে হলেও রাস্তায় নামতে শুরু করেছে এসবিএসটিসির বাস।

Advertisement

পরিবহণ দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রাজ্য জুড়ে এসবিএসটিসির ২০টি বাস ডিপো ও পাঁচটি টার্মিনাস রয়েছে। এই বাস ডিপো ও টার্মিনাসগুলিতে প্রায় ৮৮০টি বাস রয়েছে। কিন্তু অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীদের ধর্মঘট হয়ে যাওয়ায় ডিপো এবং টার্মিনাসে থাকা বাসগুলি অচল হয়ে পড়েছিল। আলোচনা সত্ত্বেও কিছুতেই অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীদের আন্দোলন থেকে বিরত করা যাচ্ছিল না। কিন্তু তাঁদের দাবিপূরণের আশ্বাসের পাশাপাশি, পরিবহণ মন্ত্রী তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার আশ্বাস দিতেই ফের সচল হতে শুরু করে ডিপো ও টার্মিনাসগুলি। ধর্মঘট উঠে যাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই ৪০০টি বাস বিভিন্ন জেলার রাস্তায় নেমেছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার আরও ১৫০টির বেশি বাস চালানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে নিগম। তবে সামনে শারদোৎসব থাকায় তাঁদের ওপর ‘পুজো স্পেশাল বাস’ চালানোর চাপও রয়েছে। তাই আপাতত, দেখে শুনে জেলা অনুযায়ী প্রয়োজনভিত্তিক বাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন নিগমের কর্তারা। এসবিএসটিসির চেয়ারম্যান সুভাষ মণ্ডল বলেন, ‘‘ধর্মঘট উঠে যাওয়ার পর থেকেই আমরা বাস চালানোর পরিকল্পনা করছি। উৎসবের মরসুমে বিভিন্ন জেলার নানা রকম বাসের চাহিদা থাকে। সেই বিষয়টি বিবেচনা করেই আমরা বাস চালাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement