—প্রতীকী চিত্র।
আরজি কর-কাণ্ডের আবহে এ বার নাবালিকা আদিবাসী ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ায়। শনিবার রাতে নির্যাতিতার পরিবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরেই তদন্তে নেমে অভিযুক্ত চার যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার ধৃতদের বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করে তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘অভিযোগ পাওয়ার পরই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পকসো আইনে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। সেই আত্মীয়ের গ্রামের চার যুবক তাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। প্রথমে ঘটনার কথা কাউকেই বলেনি নাবালিকা। পরে পরিবারের লোকেরা অস্বাভাবিকতা লক্ষ করে চেপে ধরতেই মেয়েটি বাড়িতে সব জানায়। এর পরেই শনিবার রাতে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘কাজের সূত্রে আমি বাইরে থাকি। মেয়ে হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। সেখান থেকে ফিরে পিসির বাড়িতে গিয়েছিল। সেখানে গত ২০ অগস্ট চার জন মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। মেয়ে প্রথমে লজ্জায় কাউকে কিছু বলেনি। শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় শুক্রবার নিজের দিদিমাকে ঘটনার কথা জানায়। এর পর শনিবার আমরা থানায় অভিযোগ জানাই। আমার মেয়ের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা যেন আর অন্য কারও সঙ্গে না হয়। আমি দোষীদের কঠোরতম শাস্তি চাই।’’ পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার নির্দিষ্ট ধারায় নাবালিকাকে গণধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে।