প্রতীকী ছবি।
পিতলের তৈরি ঘর সাজানোর জিনিসের মধ্যে মাদক পাচার করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো (এনসিবি)-র হাতে ধরা পড়লেন চার যুবক। ধৃতদের নাম কবীর ইব্রাহিম, তাবরেজ মোল্লা, বসির আহমেদ ও মহম্মদ হামিদ আলম। এঁদের মধ্যে প্রথম তিন জন চেন্নাইয়ের বাসিন্দা। হামিদের বাড়ি বিহারে। চেন্নাই ও জেহানাবাদের স্থানীয় আদালতে তোলার পরে তাঁদের শীঘ্রই কলকাতায় আনা হবে বলে এনসিবি সূত্রে জানা গিয়েছে।
এনসিবি-র এক কর্তা শুক্রবার জানান, গত ১১ মার্চ কলকাতা থেকে কুরিয়র সার্ভিসের কাছ থেকে প্রায় ছ’কেজি পাউডারের মতো মাদক বাজেয়াপ্ত হয়। পিতলের ফুলদানির মধ্যে ভরে তা পাঠানো হচ্ছিল অস্ট্রেলিয়ায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এনসিবি জানতে পারে, চেন্নাইয়ের একটি দল নিয়মিত বিদেশে মাদক সরবরাহ করে। কিন্তু সম্প্রতি দক্ষিণ ভারতে কয়েকটি ঘটনায় তাদের পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়। তখন তারা মাদক পাচার শুরু করে কলকাতা থেকে।
দ্বিতীয় প্রয়াস হিসেবে গত ১৩ অক্টোবর আবার চার কেজি পাউডার কলকাতা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে সেটিও আটক করেন এনসিবি-র গোয়েন্দারা। তদন্তে জানা যায়, যে দলটি মার্চ মাসে মাদক পাঠানোর চেষ্টা করেছিল, এ বারেও তারাই জড়িত। এ বার উঠে আসে বিহারের এক যুবকের নাম। এনসিবি জানিয়েছে, ইয়াবা-সহ যত ধরনের মাদক বাজারে পাওয়া যায়, এই দুই ধরনের পাউডার সেই মাদক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ভারতে এই পাউডার ব্যবহার করা হয় নিয়ন্ত্রিত উপায়ে, ওষুধ তৈরির কাজে। আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম কেজি প্রতি প্রায় এক লক্ষ টাকা বলে সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে।
অক্টোবরে মাদক বাজেয়াপ্ত করার পরে এই দলের সম্পর্কে নির্দিষ্ট তথ্য পান এনসিবি-র গোয়েন্দারা। তার ভিত্তিতেই চার জনকে গ্রেফতার করা হয়।