প্রতীকী ছবি।
করোনা সংক্রমণে অক্সিজেনের চাহিদা আকাশছোঁয়া। তাই এমন সঙ্কটকালে ২৫টি মেডিক্যাল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আরও ৩৫টি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আর এই অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হল জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরকে। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে এই অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের সময়ে যেহেতু স্বাস্থ্য দফতর বহুবিধ কাজে ব্যস্ত, তাই চটজলদি এই প্লান্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরকে। দায়িত্ব হাতে পাওয়ার পরেই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে টেন্ডার করা হয়ে গিয়েছে। চেষ্টা করা হচ্ছে, আগামী জুন মাসের মধ্যেই যাতে এই প্লান্টগুলি চালু করা যায়। কোভিড পরিস্থিতিতে ওই হাসপাতালগুলির উপর চাপ কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর।
কলকাতার এসএসকেএম, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজের পাশাপাশি, বাকুঁড়া খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজ, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ, কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজের মতো হাসপাতালগুলিতেও অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হবে। যদিও, এই হাসপাতালগুলিতে আগে থেকেই অক্সিজেন প্লান্ট রয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে তা পর্যাপ্ত নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই, তড়িঘড়ি অতিরিক্ত অক্সিজেন প্লান্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ কমে গেলেও, নভেম্বর মাসে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলেই আশঙ্কা চিকিৎসক মহলের। সে কারণে পাকাপাকি ভাবেই সরকারি বড় হাসপাতালগুলির পাশাপাশি, মেডিক্যাল কলেজগুলিতেও স্থায়ীভাবে অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর এই প্রকল্প বাবদ জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরকে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। সেই অর্থেই এই প্লান্টগুলি তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের মন্ত্রী পুলক রায় বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়া মাত্রই আমরা এই কাজ শুরু করে দিয়েছি। আশা করছি, দ্রুতই ৩৫টি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করে আমজনতাকে সুরক্ষা দিতে পারব।’’