land dispute

জমি জটে আটকে সেতুর রাস্তা, সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার

জমি জটে আজও তৈরি হয়নি সেতুর সংযোগকারী রাস্তা। ফলে এখনও চালু হয়নি সেতু। জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার করছেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

সামসুল হুদা

ভাঙড় শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০ ০৪:৫৬
Share:

নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে পারাপার। নিজস্ব চিত্র।

বাম আমলে শুরু হয়েছিল সেতু নির্মাণের কাজ। তবে জমি জটে আজও তৈরি হয়নি সেতুর সংযোগকারী রাস্তা। ফলে এখনও চালু হয়নি সেতু। জরাজীর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার করছেন সাধারণ মানুষ।

Advertisement

বছর দশেক আগে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া থানার কামারগাতি ও ভাঙড় ১ ব্লকের বাড়জুলি গ্রামের মধ্যে সংযোগ গড়তে ভাঙড়ের কাটা খালের উপর সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাম সরকার। এর জন্য প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন বাম সরকারের সেচ দফতরের মন্ত্রী সুভাষ নস্কর ও ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা ওই সেতু নির্মাণের শিলান্যাস করেছিলেন। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, প্রায় ১০ বছর হতে চলল, অথচ সেতুটির কাজ অর্ধসমাপ্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। খালের উপর কেবলমাত্র কংক্রিটের সেতুটি নির্মাণ হয়েছে। কিন্তু সেতুটির সংযোগকারী রাস্তা তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেতুটি তৈরি হলে হাড়োয়ার সঙ্গে বাসন্তী হাইওয়ের সরাসরি সংযোগ রক্ষা করা সম্ভব হবে। সেতুটি চালু না হওয়ায় সমস্যায় পড়ছেন দুই জেলার লক্ষাধিক মানুষ।

সেতু চালু না হওয়ায় স্থানীয় লোকজন নিজেদের উদ্যোগে বাঁশের একটি অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করে নেন। বর্তমানে সেই সাঁকোটিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুর পাশেই রয়েছে কামারগাতী হাই স্কুল। ভাঙড়ের বাড়জুলি, ফুলবাড়ি, চণ্ডীপুর-সহ আশপাশের গ্রাম থেকে বহু পড়ুয়া ওই স্কুলে যায়। ফলে ঝুঁকি নিয়ে খাল পারাপার করতে হয় পড়ুয়াদের।

Advertisement

সাধারণ মানুষের অভিযোগ, সাঁকো পার হতে গেলে ১ টাকা দিতে হয়। মোটরবাইক নিয়ে পার হলে ৫ টাকা করে দিতে হয় সাঁকো পরিচর্যার জন্য। কিন্তু তারপরও সাঁকোটি ঠিকমতো মেরামত করা হয় না। ওই সাঁকো দিয়ে মোটরবাইক, সাইকেল পারাপার করা গেলেও অন্য কোনও যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সে ক্ষেত্রে অনেকটা ঘুরপথে যেতে হয়। ফলে সময় ও অর্থ অপচয় হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা রমজান মোল্লা, শম্ভু মণ্ডল, ফিরদৌসী বেগমরা জানান, গুরুত্বপূর্ণ ওই সেতুটির কাজ আজও শেষ হল না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাই বাঁশের সাঁকো পারাপার করতে হয়। অবিলম্বে সেতু নির্মাণের কাজ শেষ করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

ব্লক প্রশাসন সূত্রে খবর, বাড়জুলি গ্রামে সেতু লাগোয়া বেশ কিছু ঘরবাড়ি রয়েছে। তাদের তুলতে গেলে পুনর্বাসন দিতে হবে। মূলত জমিজটের কারণেই সেতুটির সংযোগকারী রাস্তার কাজ দীর্ঘদিন আটকে রয়েছে। স্থানীয়রা চাইছেন জমিজট কাটিয়ে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে নির্মাণ কাজ আবার শুরু হোক।

ভাঙড় ১ এর বিডিও দীপ্যমান মজুমদার বলেন, “কী সমস্যা রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সেই মতো সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement