Barrackpore

বক্স বাজানোর প্রতিবাদ করায় বোমাবাজি, আহত ৪

রবিবার দুপুরে পুলিশ গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে চারটি বোমা উদ্ধার করে। সেই সময়ে একটি বোমা ফাটার আওয়াজ পাওয়া যায়। একটি বাড়ির গায়ে বিস্ফোরণের চিহ্নও মেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ব্যারাকপুর শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২২ ০৭:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

বোমাবাজি আর তার পরেই দফায় দফায় বোমা উদ্ধার ভাটপাড়া, জগদ্দলে কার্যত দস্তুর হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছু দিন আগেই রেললাইনের ধারে বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছিল একটি শিশুর। তার পরে পুলিশের চিরুনি তল্লাশিতে উদ্ধার হয় তাজা বোমা। কিন্তু তাতেও যে বোমাবাজিতে ছেদ পড়েনি, রবিবার ফের তার প্রমাণ মিলল। এ বারের ঘটনাস্থল জগদ্দল থানা এলাকার মোমিনপাড়া। পুলিশি তল্লাশি চলাকালীনই সেখানে বোমা ফাটেবলে অভিযোগ!

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাটপাড়া পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোমিনপাড়ায় একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে তারস্বরে সাউন্ড বক্স বাজানোর প্রতিবাদ করেছিলেন এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা। এই নিয়ে তাঁদের সঙ্গেবিরোধ বাধে বিয়েতে নিমন্ত্রিত লোকজনের। বিষয়টি হাতাহাতি পর্যন্ত গড়িয়েই থেমে থাকেনি, প্রতিশোধ নিতে বোমা ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় মোট চার জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে দু’জনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাকি দু’জন হাসপাতালে ভর্তি। আহত এক বাসিন্দা, মহম্মদ আসিফের মা রেহানা বিবি বলেন, ‘‘বিয়ের অনুষ্ঠানে এত জোরে বক্স বাজছিল যে, আমাদের রীতিমতো শরীর খারাপ লাগছিল। ছেলে প্রতিবাদ করতে গেলে ওকে মারধর করে। এর পরে বোমা ছোড়ে।’’ বিয়েবাড়ির কেউ এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের ডিসি (উত্তর) শ্রীহরি পাণ্ডে বলেন, ‘‘বোমাবাজিতে জখম হয়েছেন চার জন। পাঁচ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’’

রবিবার দুপুরে পুলিশ গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে চারটি বোমা উদ্ধার করে। সেই সময়ে একটি বোমা ফাটার আওয়াজ পাওয়া যায়। একটি বাড়ির গায়ে বিস্ফোরণের চিহ্নও মেলে। এ দিনই বাসুদেবপুরে একটি বাড়ির পরিত্যক্ত অংশ থেকে উদ্ধার হয় সাতটি বোমা।

Advertisement

এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘এটা এখন এগিয়ে বাংলার মডেল হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কিছু দিন আগে সব বোমা এবং অস্ত্র উদ্ধারকরার জন্য পুলিশ-প্রশাসনকে বলেছিলেন। তা হলে কি প্রশাসন এখন ওঁর কথাই শুনছে না?’’ অন্য দিকে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘এটা ক্ষমতা দখলের লড়াই, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল। পুলিশ, দুষ্কৃতী ও তৃণমূলের বাহিনী সিন্ডিকেটের মতো করে পশ্চিমবঙ্গকে জ্বালিয়ে দিচ্ছে।’’

বিরোধীদের জবাবে রাজ্যের মন্ত্রী তথা নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, ‘‘রাজ্যের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করতে দুষ্কৃতীদের কারা মদত দিচ্ছে, তা সাধারণ মানুষ ভাল করেই জানেন। আর বোমা-গুলির রাজনীতি আমরা বাম আমলে দেখতে অভ্যস্ত ছিলাম। সে কথাভোলেনি কেউ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement