Valentine's Day

প্রেম দিবসে চাই ১৫ হাজার টাকা! আবদার না মেটানোয় স্বামীর মাথা ফাটালেন নরেন্দ্রপুরের বধূ

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর আটেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া সবুজ সংঘের বাসিন্দা অজিত এবং মামনি। তাঁদের ৭ বছরের একটি পুত্রসন্তানও আছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নরেন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১০:০৬
Share:

স্ত্রী মামনির বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরও করেছেন আক্রান্ত স্বামী অজিত। নিজস্ব চিত্র।

টাকা না দেওয়ায় স্বামীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে। কেড়ে নেওয়া হয় স্বামীর গাড়ির চাবিও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের ঘটনা। মারের চোটে ওই ব্যক্তির মাথায় ছ’টি সেলাই করতে হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। প্রহৃত স্বামীর নাম অজিত চৌধুরী। অভিযোগ দায়ের হয়েছে নরেন্দ্রপুর থানায়।

Advertisement

চলছে প্রেমের সপ্তাহ বা ‘ভ্যালেন্টাইন উইক’। এই সময় প্রেমিক-প্রেমিকারা একে অপরের কাছে বিভিন্ন আবদার করে থাকে। না দিতে পারলে শুরু হয় অনুযোগ-অভিমানের পালা। সেই ‘ভ্যালেন্টাইন্‌স উইক’-এর মধ্যে সোমবার ছিল চুমু দিবস অর্থাৎ, কিস ডে। সে দিনই ভ্যালেন্টাইন্‌স ডে উপলক্ষে স্বামীর কাছে ১৫ হাজার টাকার আবদার করেন অজিতের স্ত্রী মামনি। অভিযোগ, অজিত সেই টাকা না দেওয়ায় কাচের গ্লাস ছুড়ে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেন স্ত্রী। প্রতিবেশীরা অজিতের চিৎকার শুনে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুতর চোটের কারণে অজিতের মাথায় ৬টি সেলাই পড়েছে। এই ঘটনায় মামনির বিরুদ্ধে নরেন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরও করেছেন আক্রান্ত স্বামী অজিত। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর আটেক আগে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার গড়িয়া সবুজ সংঘের বাসিন্দা অজিত এবং মামনি। তাঁদের ৭ বছরের একটি পুত্রসন্তানও আছে। সোমবার স্বামীর কাছে ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি করেন মামনি। অভিযোগ, বার বার চাওয়া সত্ত্বেও সেই টাকা না পাওয়ায় কাচের গ্লাস দিয়ে স্বামীর মাথায় মারেন তিনি। অজিতের অভিযোগ, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মামনির বাবা অচিন্ত্য মণ্ডলও। দু’জনের নামেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, বাবার টাকার দরকার আছে বলে তাঁর কাছে ১৫ হাজার টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু না দেওয়ায় কাচের গ্লাস দিয়ে মেরে তাঁর কাছ থেকে সেই টাকা ছিনিয়ে নেন তাঁর স্ত্রী। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী প্রায়ই তাঁকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ অজিতের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement