প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের জয় উপলক্ষে আয়োজিত বনভোজনে রান্না হয়েছিল মাংস। তাতে মুখ দিয়েছিল এক জনের বাড়ির পোষা কুকুর। কেন রান্না করা মাংসে কুকুর মুখ দিয়েছে, তা নিয়েও হাতাহাতি বাধল শাসক ও বিরোধী দলে! এ রাজ্যে রাজনৈতিক মেরুকরণ কোন পর্যায়ে পৌঁছেছে, তার সাক্ষী থাকল দেগঙ্গার কলাপোল এলাকা।
সোমবার রাতে ওই ঘটনাকে ঘিরে ইটের ঘায়ে মাথা ফাটে এক ব্যক্তি ও তাঁর ছেলের। তাঁরা দু’জনেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত। বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে পাল্টা হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেছে থানায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলাপোল গ্রামে তৃণমূল বনভোজনের আয়োজন করেছিল। সেখনে রান্না হয়েছিল মুরগির মাংস। মাংসের কড়াইয়ে মুখ দেয় চাকলা বিজেপির মণ্ডল সভাপতি মুকুলকান্তি চৌধুরীর দাদা মৃণালকান্তি চৌধুরীর বাড়ির পোষা কুকুর।
ঘটনা জানাজানি হওয়ায় উত্তেজনা ছড়ায়। উভয় পক্ষের চেষ্টায় রাতে সব মিটমাট হলেও মঙ্গলবার সকালে ফের মৃণালকান্তির সঙ্গে মারপিট বাধে তৃণমূলের অসীম দে ও তাঁর ছেলে সুরজিতের। অসীম বলেন, ‘‘মুকুলকান্তি চৌধুরী ইচ্ছে করে আমাদের রান্না করা মাংস তাদের কুকুর দিয়ে খাইয়েছে। প্রতিবাদ করায় ওরা আমাদের মাথা ফাটিয়ে দেয়।’’ মৃণালকান্তি বলেন, ‘‘অবোলা জীব মাংসের গন্ধ পেয়ে গিয়েছিল। সামান্য একটা ঘটনা নিয়ে অসীম তৃণমূলের বহিরাগতদের এনে আমার বাড়িতে হামলা চালায়।’’ বিজেপি নেত্রী দীপিকা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ভোটের লড়াইয়ে মানুষ তৃণমূলকে চেয়েছেন। তা আমরা মেনেও নিয়েছি। এর পরেও কেন রাজনৈতিক হিংসা হবে? তা ছাড়া, দু’পক্ষের অভিযোগে কেন এক পক্ষকে গ্রেফতার করা হল, সেটাও স্পষ্ট নয়।’’
দেগঙ্গার বিধায়ক তথা তৃণমূল নেত্রী রহিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘ঘটনাটি নেহাতই পারিবারিক। আমরাও চাই শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকুক। চার দিকে যা ঘটছে, তা বিজেপির অন্তর্কলহের ফল। এর সঙ্গে তৃণমূলের যোগ নেই।’’ পুলিশ জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।