হোভারক্র্যাফটের মাধ্যমে সমুদ্রে তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র
বুধবার ভোরে ট্রলারডুবির পর কেটে গিয়েছে অনেকটা সময়। কিন্তু লাগাতার তল্লাশি চালিয়েও এখনও খোঁজ মিলল না ১০ মৎস্যজীবীর। সমুদ্রে হোভারক্র্যাফ্ট নামিয়ে চালানো হচ্ছে তল্লাশি। পাশাপাশি ডর্নিয়ের বিমানের মাধ্যমেও আকাশপথে নজরদারি চালানো হচ্ছে সমুদ্রবক্ষে। যাতে জীবিত অবস্থায় কেউ ভেসে গিয়ে থাকলে নজরে আসে। তবে ভাটা থাকায় তল্লাশি অভিযানে সমস্যায় পড়েন উপকূল রক্ষীবাহিনী এবং উপকূল থানার কর্মীরা।
বুধবার ট্রলার ডুবির খবর পেয়েই সমুদ্রে নামানো হয় উপকূল থানার ২টি স্পিডবোট। এ ছাড়া উপকূল রক্ষী বাহিনীর একটি বোট এবং ১৫টি মৎস্যজীবী ট্রলার সমুদ্রে তল্লাশি শুরু করে। পাশাপাশি ছিল উপকুল রক্ষীবাহিনীর জাহাজও। এ ছাড়া আকাশপথে ডর্নিয়ের বিমানের মাধ্যমেও চলে নজরদারি। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত নিখোঁজদের কোনও সন্ধান মেলেনি। উপকূল রক্ষীবাহিনীর কমান্ডার অভিজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সমুদ্রে আমাদের জাহাজ ছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই দ্রুত জাহাজ আনা হয়। তবে ওই অংশে নাব্যতা কম থাকায় জাহাজ ঢুরকতে পারেনি। এ ছাড়া কলকাতা থেকে আনা ডর্নিয়ের বিমানের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। যাতে জীবিত কেউ ভেসে গিয়ে থাকলে তাঁকে উদ্ধার করা যায়।’’
সমুদ্রে মৎস্যজীবী, পুলিশ এবং উপকূল রক্ষীবাহিনীর সম্মিলিত তল্লাশি। নিজস্ব চিত্র।
বুধবার ভোরে রক্তেশ্বরী চরের কাছে দুর্ঘটনার সময় আশপাশে থাকা অন্য একটি ট্রলারে ছিলেন শেখ জামাল নামে এক মৎস্যজীবী। তিনি বলেন, ‘‘ভোর বেলা দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রলারটির বাইরে দু’জন ছিল। তারা ঝাঁপ দিয়েছিল জলে। তাদের উদ্ধার করেছি। কিন্তু মনে হয়, বাকিরা সকলে ভিতরে ঘুমোচ্ছিল।’’ তল্লাশি দলের সদস্যদের একাংশেরও আশঙ্কা দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রলার ‘এফবি হৈমবতী’-এর ভিতরেই আটকে রয়েছে মৎস্যজীবীদের দেহ। ওই ট্রলারটির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সেটি অন্য ট্রলারের সঙ্গে বেঁধে তীরে নিয়ে আসা হচ্ছে। বুধবার রাতেই নামখানার পাতিবুনিয়া ঘাটে সমুদ্রবক্ষ থেকে পৌঁছতে পারে ট্রলারটি। এই খবর শুনে চরম উৎকণ্ঠা চেপে রেখেই পাতিবুনিয়া ঘাটে জড় হন নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যরা।
পাতিবুনিয়া ঘাটে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের আত্মীয়রা। নিজস্ব চিত্র।