ডায়মন্ড হারবার পুরনো কেল্লার পিকনিক স্পট।
শীতের শুরু থেকেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি বিশেষ জায়গায় ভিড় জমে চড়ুইভাতিতে। অনেকেরই পছন্দের পিকনিক স্পট, ডায়মন্ড হারবারের পুরনো কেল্লা। কিন্তু উপযুক্ত পরিকাঠামো না থাকায় সেখানে পিকনিকে এসে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকেরা। তাঁদের অভিযোগ, কাছাকাছি পানীয় জল, শৌচালয় না থাকায় ভোগান্তি হচ্ছে।
ডায়মন্ড হারবার অন্যতম শহরের মূল আকর্ষণ, পর্তুগিজদের তৈরি এই পুরনো কেল্লা। হুগলি নদীর ভাঙনে এক এক করে সব কেল্লাই যদিও ধ্বংসের পথে। তবে পিকনিক স্পটের নাম থেকে গিয়েছে, ‘পুরনো কেল্লা পিকনিক স্পট’। ডায়মন্ড হারবার শহর ছাড়িয়ে পুরনো কেল্লা পিকনিক মাঠটি রয়েছে। এখানে প্রায় সারা বছরই কমবেশি ঘুরতে আসেন মানুষ, শীতের মরসুমে বহু মানুষ পিকনিক করতে আসেন এখানে।
ডায়মন্ড হারবার পুরসভা পরিচালিত এই স্পটকে কেন্দ্র করে আশেপাশে গড়ে উঠেছে কিছু হোটেল ও রেস্তরাঁ। পিকনিক স্পটের মাঠে পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে দোলনা, বাচ্চাদের জন্য নানা ধরনের ব্যবস্থা ও ছোটখাটো খাবারের দোকান। পিকনিক পার্টির লোকজন এসে ওই মাঠ ছাড়িয়ে পুরনো কেল্লা লাগোয়া নদীবাঁধের দিকে এগিয়ে যান। সেখানে ভিড় হয় বেশি। গাছ-গাছালির ছায়ায় পিকনিক জমে ওঠে। তবে এই চত্বরে শৌচালয়, পানীয় জলের ব্যবস্থার অভাব প্রকট। লোকজনকে জল কিনে নিতে হয়। শৌচালয় না থাকায় সমস্যায় পড়েন অনেকে। ক’দিন আগে কলকাতার বেহালা থেকে এক দল যাত্রী পিকনিক করতে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে পিনাকী সাহুর অভিযোগ, “আমরা মাথাপিছু টাকা দিয়ে পিকনিক স্পটে এসেছি। কিন্তু সে ভাবে পরিষেবা পাইনি। শৌচালয়ের ব্যবস্থা না থাকায় খুব সমস্যা হয়েছে।”এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবারের উপ পুরপ্রধান রাজর্ষি দাস বলেন, “পিকনিক মাঠের মধ্যে দু’টি শৌচালয় রয়েছে। ফলে ওই এলাকায় আলাদা করে অস্থায়ী শৌচালয়ে করা হয়নি। বাকি সমস্যার সমাধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”