তৃণমূল করার ‘অপরাধে’ মহিলাকে মার। — নিজস্ব চিত্র।
আবার উত্তপ্ত সন্দেশখালি। এ বার তৃণমূল করায় এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রীদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নিগৃহীতা মহিলা।
তিনি তৃণমূলকে সমর্থন করেন। এই ‘অপরাধে’ সন্দেশখালির খুলনার বাসিন্দা এক মহিলাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি। মহিলার অভিযোগ, তিনি তৃণমূলকে সমর্থন করেন। বিজেপির লোকজন তাঁকে একাধিক বার তৃণমূল না করার হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু মহিলা তাঁদের কথায় পাত্তা না দিয়ে তৃণমূলকেই সমর্থন করে যান। এর পর ওই মহিলাকে লাঠি দিয়ে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আহত অবস্থায় তাঁকে সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তী কালে খুলনা হাসপাতালেও তাঁর চিকিৎসা হয়। আপাতত তিনি স্থিতিশীল রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
বিজেপির হাতে নিগৃহীতা ওই মহিলা বলেন, ‘‘আমরা তৃণমূল করি, ওরা বিজেপি করে। আমরা কেন তৃণমূল করছি, সেই হিংসায় আমাকে মারধর করল। বিজেপির জনক মণ্ডল, অপর্ণা মণ্ডল আমাকে লাঠি দিয়ে মেরে ফেলে দেয়। তার পর লাথি, ঘুষি, চড় মারতে থাকে। মোট পাঁচ জন আমাকে মেরেছে। ওরা সবাই বিজেপি করে। কিন্তু আমরা বিজেপি করব না, তৃণমূলই করব।’’ ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় একজনকেও এখনও গ্রেফতার বা আটক করতে পারেনি পুলিশ।
বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস ঘোষ অবশ্য এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই বলে দাবি করেছেন। আনন্দবাজার অনলাইনকে টেলিফোনে তাপস বলেন, ‘‘পাড়ায় ওঁরা পাশাপাশি থাকেন। বচসা হয়েছে, সেখান থেকে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে মারপিট করেছেন। এখন স্বাভাবিক ভাবেই এতে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করবে তৃণমূল। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির ঠিক সে ভাবে কোনও সম্পর্ক নেই। বিজেপিকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’’ তাপসের আরও দাবি, এই এলাকায় তৃণমূল ‘ব্যাকফুটে’ রয়েছে। তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে গ্রাম্য লড়াইয়ের মধ্যে রাজনীতি টেনে এনে ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসকদল।