Suicide

Suicide: সাংসারিক অশান্তির জেরেই আত্মঘাতী দেগঙ্গার তৃণমূল নেত্রী? তদন্তের দাবি বিজেপি-র

পরিবারের দাবি, সাতসকালে নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পম্পা। সাংসারিক অশান্তি জেরেই আত্মঘাতী হতে পারেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দেগঙ্গা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৭:০৭
Share:

পম্পা দত্ত। —নিজস্ব চিত্র।

সাতসকালে নিজের ঘর থেকে এক তৃণমূল নেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল দেগঙ্গায়। প্রাথমিক ভাবে একে আত্মহত্যা মনে করলেও এই ঘটনার কারণ পুলিশের কাছে স্পষ্ট নয়। সাংসারিক অশান্তিই এই ঘটনার কারণ হতে পারে বলে পরিবারের দাবি। তবে গোটা ঘটনার তদন্তের দাবি করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।

পুলিশ সূত্রের খবর, সোমবার সকালে দেগঙ্গার পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা শাসকদলের নির্বাচিত সদস্য পম্পা দত্ত (৩৪)-র ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। ঘটনার খবর পেয়ে দেগঙ্গা পুরসভার বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে তাঁর দেহ নিয়ে যান পরিবারের লোকজন। সেখানেই পম্পাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

পরিবারের দাবি, সাতসকালে নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন পম্পা। সাংসারিক অশান্তি জেরেই আত্মঘাতী হতে পারেন তিনি। যদি ঘটনার তদন্তে নেমে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পরে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।

সোমবার পম্পার মৃত্যুর খবর পেয়ে বিশ্বনাথপুর হাসপাতাল এসে পৌঁছন দেগঙ্গার বিধায়ক মহিমা মণ্ডল, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বনভূমির কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ, দেগঙ্গা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মফিদুল হক সাহাজা, জেলা পরিষদের সদস্য ঊষা দাস-সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মফিদুল বলেন, “মেয়ের স্কুলের ইউনিফর্ম কিনতে তাকে সঙ্গে নিয়ে সকালে দেগঙ্গা বাজারে গিয়েছিলেন পম্পার স্বামী টুটুল দত্ত। সেখানেই খবর পান যে তাঁর স্ত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। বাড়িতে ফিরে গিয়ে তাঁর দেহ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা পম্পাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।”

Advertisement

পম্পার আকস্মিক মৃত্যুতে দেগঙ্গার রাজনীতিতে বড় ক্ষতি হল বলে মনে করেন মফিজুল। তিনি বলেন, “রাজনীতিতে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছিলেন পম্পা। এই ঘটনায় দেগঙ্গার রাজনীতিতে বড় ক্ষতি হয়ে গেল।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement