হাসপাতালে তৃণমূল সাংসদ মমতাবালার কন্যা মধুপর্ণা। — নিজস্ব চিত্র।
অনশন চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়লেন বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের খুড়তুতো বোন তথা তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের কন্যা মধুপর্ণা। তাঁকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। শনিবার ছিল তাঁর অনশনের দ্বাদশ দিন।
বনগাঁর ঠাকুরবাড়ির কোন্দল ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দাদা শান্তনুর বিরুদ্ধে ধর্না-অনশনে বসেছিলেন মমতাবালার কন্যা। শনিবার তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ঠাকুরনগর চাঁদপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন মধুপর্ণা। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রে খবর, চিকিৎসকেরা মধুপর্ণার পরিবারকে জানিয়েছেন যে, দীর্ঘ দিন অভুক্ত থাকার ফলে মধুপর্ণা শারীরিক ভাবে অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়েছেন। তাঁর জ্বর এসেছে। ঘন ঘন বমিও হচ্ছে। কিছুই না খাওয়ার কারণে গ্যাসের সমস্যাও হচ্ছে। সূত্রের খবর, চিকিৎসকেরা মধুপর্ণার মাকে মেয়ের অনশন ভাঙানোর কথা বলেছেন। মধুপর্ণার যা অবস্থা এখন, তাতে শারীরিক ভাবে তিনি অনশন চালিয়ে যেতে পারবেন না। তাই অবিলম্বে তাঁর অনশন ভঙ্গ করাতে হবে বলে পরিবারের লোককে পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
প্রসঙ্গত, মধুপর্ণার অনশন পড়ল দ্বাদশ দিনে। অনশন শুরুর দিন তিনি বলেছিলেন, ‘‘শান্তনু তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদের পৈতৃক ভিটেতে তালা দিয়েছে। আমরা আমাদের ঠাকুরদা-ঠাকুরমার ঘরে ঢুকতে পারছি না। মায়ের সব কিছুই ওই ঘরে রয়েছে। সেই ঘরের তালা খুলে দেওয়ার দাবিতে অনশনে বসেছি। আমরা চাই সারা ভারতবাসী বিচার করুক।’’
মধুপর্ণা-ঘনিষ্ঠ এক মতুয়া নেতা বলেন, ‘‘১৯৮৫ সালে কপিলকৃষ্ণের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মমতাবালা। তার পর থেকে ঠাকুরনগরের ওই বাড়িই তাঁর ঠিকানা। কিন্তু শান্তনু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর থেকেই মমতাবালাকে পরিবারসুদ্ধ উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা সাজান। তার জেরেই মমতাবালার কন্যাকে অধিকার ফিরে পাওয়ার দাবিতে অনশনে বসতে হচ্ছে।’’