কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। ছবি: সংগৃহীত।
দক্ষিণ কাঁথিতে বিজেপির বুথ এজেন্টকে মারধর করে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ করলেন কাঁথির বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর আঙুল তৃণমূলের দিকে।
ভোট দিতে যাওয়ার পথে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম কার্তিক ঘড়ুই। বয়স ৪৫ বছর। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের গলসির খানো গ্রামে। মৃতের পরিবারের দাবি, কার্তিক অসুস্থ ছিলেন। শনিবার ভোট দিতে যাওয়ার পথে বাড়ির কাছেই পুকুরপাড়ে পড়ে যান। স্থানীয়েরা তাঁকে বাড়িতে নিয়ে গেলেও শেষরক্ষা হয়নি। বিষ্ণুপুর লোকসভার অন্তর্ভুক্ত খণ্ডঘোষ বিধানসভার মধ্যে পড়ে গলসির খানো গ্রাম।
কেশপুরের অনেক বুথে পুনর্নিবাচন দাবি করবেন, ষষ্ঠ দফার ভোটের শেষ লগ্নে এসে জানিয়ে দিলেন বিজেপি প্রার্থী হিরণ। ঘাটালে দুপুর ৩টের মধ্যে ৭১ শতাংশ ভোট পড়েছে। তাতে তিনি খুশি নন বলে জানান।
এখনও পর্যন্ত ষষ্ঠ দফার ভোটে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রায় ২০০০ অভিযোগ জমা পড়েছে। মোট অভিযোগের সংখ্যা ১৯৮৫। তার মধ্যে দলগত ভাবে অভিযোগ জমা পড়েছে ৩৫৮টি।
ময়নার বিজেপি প্রার্থী অশোক দিন্দার আপ্তসহায়কের বাড়িতে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদে সেখানে গিয়ে ধর্নায় বসেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, ময়না পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা গৌতম গুরু ‘মিসিং’ রয়েছেন। শুক্রবার রাত থেকে তাঁর দুটো ফোনে বহু বার ফোন করা হয়েছে। কিন্তু ফোন তোলেননি তিনি। গৌতমের স্ত্রীর কাছ থেকে এই অভিযোগ পেয়েই তাঁর বাড়িতে চলে যান তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।
ময়নায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
বিকেল ৩টে পর্যন্ত বাংলায় ৭০.১৯ শতাংশ ভোট পড়েছে, জানাল নির্বাচন কমিশন। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বিষ্ণুপুরে, ৭৩.৫৫ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে পুরুলিয়ায়, ৬৬.০৬ শতাংশ। সারা দেশে ভোটের হার বাংলাতেই সর্বোচ্চ।
বিজেপি প্রার্থী প্রণত বলেন, ‘‘প্রার্থী হিসাবে আমি এখানে এসেছিলাম। খবর ছিল, এখানে ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ-প্রশাসন বলে কিছু নেই। আমাদের তরফে কোনও প্ররোচনা ছিল না। এরা ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিচ্ছে।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ঝাড়গ্রামকে সন্দেশখালি বানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। এখানে আমাদের ভোটারেরা ভোট দিতে পারছেন না। নিরাপত্তারক্ষী ছিল বলে আমি বেঁচেছি। না হলে প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারতাম না।’’
গড়বেতায় প্রণত টুডুর গাড়িতে হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান জখম হয়েছেন। তাঁর মাথায় আঘাত লেগেছে। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি ওই এলাকায় অশান্তি করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন প্রার্থী। তাঁকে দেখে তাড়া করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ, ঢিল ছোড়া হয় তাঁকে লক্ষ্য করে। তাঁর গাড়ির কাচ ভেঙে গিয়েছে।
ঝাড়গ্রামের গড়বেতায় বিজেপি প্রার্থী প্রণত টুডুকে ঘিরে বিক্ষোভ। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে ঢিল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। ২০০ নম্বর বুথে উত্তেজনা। লাঠি, বাঁশ নিয়ে বিজেপি প্রার্থীর দিকে তেড়ে যান মহিলারা। সংবাদমাধ্যমের গাড়ির কাচও ভেঙেছে।
নন্দীগ্রামে তৃণমূল কর্মীর উপর হামলার অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। জখম তৃণমূল কর্মীকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বেলদা থানার সাবড়ায় ৫৫ নম্বর বুথে বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি আসার পরেই পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু হয়। এলাকা ছেড়ে সরে যায় পুলিশ।
দুপুর ১টা পর্যন্ত ভোটের হারে সারা দেশে এগিয়ে বাংলা। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে এ রাজ্যেই।
দুপুর ১টা পর্যন্ত বাংলায় ভোটের হার ৫৪.৮০ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে বিষ্ণুপুরে, ৫৮.৬৪ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে পুরুলিয়ায়, ৫০.৩৪ শতাংশ।
খড়্গপুর সেরসা স্টেডিয়ামে ২৬৩ নম্বর বুথে ভোট দিলেন বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
ভোট দিলেন দিলীপ ঘোষ। —নিজস্ব চিত্র।
নন্দীগ্রামে ছাপ্পা ভোট দেওয়া হচ্ছে বলে যে ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে তৃণমূল, তা সঠিক নয় বলে জানাল নির্বাচন কমিশন। মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক শনিবার এ কথা জানিয়েছেন।
কেশপুরে হিরণের গাড়ি আটকে অশান্তি প্রসঙ্গে দেব বলেন, ‘‘কাল থেকে হিরণ কেশপুরের পিছনে পড়েছেন। ওখানে যদি সন্ত্রাস হয়ে থাকে, উনি নিজের কথাবার্তার মাধ্যমে তা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আমি শান্তিপূর্ণ ভাবে ঘুরছি। আমাকে ঘিরে তো বিজেপির লোকজন বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন না। উনি কেশপুরকে অতীতে অনেক বার আক্রমণ করেছেন। রাতেও সেখানে ছিলেন। সকাল থেকেই উনি পুলিশকে চমকাচ্ছেন। আমার মনে হয়, উনি ইচ্ছা করে সন্ত্রাস বাড়াচ্ছেন। উনি হেডলাইনে থাকতে চান। আমি ১০ বছর ধরে কেশপুরকে আগলে রেখেছি। ওখানে কিছু হতে দিইনি। ভোটের দিন উনি চাইছিলেন, এটা হোক। তবে লাভ হবে না।’’
দাঁতনে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ। দাঁতন ২ ব্লকের সাবরা এলাকায় বিজেপি কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তির তৃণমূলের দিকে।
নন্দীগ্রামে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে বিজেপি, এমনটাই অভিযোগ করল তৃণমূল। তারা সমাজমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ করেছে। ভিডিয়োতে অনেককে একসঙ্গে ইভিএমের সামনে জড়ো হয়ে ভোট দিতে দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
কেশিয়াড়িতে অগ্নিশর্মা মেজাজে দেখা গেল অগ্নিমিত্রা পালকে। একটি বুথে পুলিশ ঢুকে ছিল বলে অভিযোগ। তিনি পুলিশকে বার করে দেন।। তার পর ওই বুথে বিজেপির এজেন্টকেও বসিয়ে দেন। তবে বুথ থেকে বেরোলে বিজেপি প্রার্থীকে ঘিরে পাল্টা বিক্ষোভও দেখায় তৃণমূল। ‘গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে।